ভবানীপুর, 12 জুন:লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে 29টি আসন পেয়েছে তৃণমূল ৷ জামাইষষ্ঠীর দিনে তাই 29 দম্পতিকে খাইয়ে অভিনব উপায়ে দলের জয় উদযাপন করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ৷ সঙ্গ দিলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের ভাবী সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
জামাইষষ্ঠীর অভিনব উদযাপনে মদন মিত্র ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব ভিডিয়ো) বুধবার ভোজ খাওয়ানোর পাশাপাশি উপহার হিসেবে শাড়ি ও পাঞ্জাবি দেওয়া হয় প্রত্য়েক দম্পতিকে ৷ পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মোদিকে কটাক্ষ করে বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতির বার্তা দেন মদন মিত্র। এদিন সকাল থেকেই ভবানীপুর ভেনাস ক্লাবের চত্বর ছিল জমজমাট । বেলা বাড়তেই ব্যান্ডপার্টির সুর যেন বিয়েবাড়ির পরিবেশ তৈরি করে দিল। এরপর আসেন মদন মিত্র । তাঁকে দেখে উপস্থিত জামাইরা উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
ইলিশ-চিংড়ি থেকে আম-লিচুর আকাশছোঁয়া দাম ! জামাই আদরে হাত পুড়ছে বাঙালির
এরপর প্যান্ডেলে গিয়ে খাবার পরিবেশন করেন দু'জনে ৷ এই অভিনব কর্মসূচি নিয়ে মদন মিত্র বলেন, "আজ জামাইষষ্ঠী ৷ মোদি এসব করে না কিন্তু আমরা করি । আমি চাইব আপনাদের মাধ্যমে মোদি দেখুক বাংলার এই ছবি । উনি কথায় কথায় বলেন আমি বহিরাগত নই । আমাদের বাংলা কেমন দেখুক । ইলিশ, চিংড়ি, রসগোল্লা পাতে আজ পালিত হল জামাইষষ্ঠী । এটাই বাংলার সংস্কৃতি এটার উপরেই বাংলার ভিত দাঁড়িয়ে আছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ঘর এখানে । এই ওয়ার্ডে তিনি থাকেন । অভিষেকও এখানেই থাকেন ৷ আমরা 29টি আসনে জিতেছি তাই 29 জন মেয়ে-জামাইকে আজ খাওয়াচ্ছি । যাঁরা আজ খাচ্ছেন তাঁরা দারিদ্র্যতার কারণে জামাইষষ্ঠীতে আড়ম্বরপূর্ণ খাওয়াদাওয়া করে উঠতে পারেন না । তাই এই উদ্যোগ ৷
অন্যদিকে, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"মদন দা সব সময় ভালো কাজ করেন মানুষের জন্য । আজকের অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছেন । খুব ভালো লাগছে । আমি আজ ফাঁকা ছিলাম বলে এখানে যোগ দিতে পারলাম ৷"
মাছ নয়, জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির হাতের বাসন্তী পোলাও ও পাঁঠার মাংস প্রিয় নীলের