ঘাটাল, 3 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের মুখে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান এবং ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়েছেন অভিনেতা। ইস্তফাপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে ৷ যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ শাসকদলের কোনও নেতা। তবে বিজেপি এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে ৷ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, "দেব ভীত সন্ত্রস্ত। চোরেদের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না বলেই পদ ছেডেছেন।"
ফের শিরোনামে দেব ওরফে দীপক অধিকারী। মূলত তিনি লোকসভা ভোটের মুখেই তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরির কাছে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন বলে খবর। আর তা ঘিরে শোরগোল জেলাজুড়ে। ঘটনাক্রমে বলা যায়, গত কয়েক মাস আগে থেকে কানঘুসো শোনা যাচ্ছিল দীপক অধিকারী ওরফে দেব শুধু ঘাটালের সাংসদ পদ থেকেই নয় এমনকী রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়াতে চাইছেন। যদিও সে বিষয়ে কখনও কোথাও কোনও শাসক দলের নেতৃত্বের মুখে কথা শোনে না গেলেও বিভিন্ন জায়গায় জল্পনা হয়ে উঠেছিল। তারপরই তড়িঘড়ি কিছুদিন আগে এক বৈঠকে দেবকে নতুন করে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই বৈঠকে ঘাটালের সাংসদের নিজেই জানান, মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন তিনি সেভাবেই কাজ করবেন ৷ সেই ঘটনার পর একমাস কাটতে না কাটতেই আবার নতুন করে বিতর্ক। এই বিতর্ক কোনও রাজনৈতিক মন্তব্যে নয়, বরং নিজের তিনটে পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জল্পনা তৈরি করলেন অভিনেতা দীপক অধিকারী।
ইস্তফা নিয়ে দীপক অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশীষ হুদাইত বলেন, "এই বিষয়ে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত জানি না। সাংবাদিকদের থেকেই খবর পেয়েছি। কিন্তু এখনও এ বিষয়টা নিয়ে আমি অন্ধকারে। যতক্ষণ না খোঁজখবর নিয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারছি ততক্ষণ কিছুই বলতে পারব না ৷"