বৈদ্যবাটি, 4 অগস্ট: তারকেশ্বরে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বৈদ্যবাটি স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দাঁড়িয়ে গেল লোকাল ট্রেন। জানা গিয়েছে, যান্ত্রিক গোলোযোগের জেরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনের ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল। প্রায় আধঘণ্টা বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ৷ এরপর হাওড়ার দিকে রওনা দেয় ট্রেন ৷ ঠিক কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ প্রাথমিকভাবে রেলের অনুমান, শট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ পূর্ররেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "খোঁজ নিয়ে দেখছি কী ঘটনা ঘটেছে।"
আগুনের ফুলকি প্যান্টোগ্রাফে ! বৈদ্যবাটিতে বিকল লোকাল ট্রেন - LOCAL TRAIN BRAKES DOWN - LOCAL TRAIN BRAKES DOWN
LOCAL TRAIN BRAKES DOWN: ফের গোলযোগ লোকাল ট্রেনে ৷ প্যান্টোগ্রাফে দেখা গেল আগুনের ফুলকি ! দাঁড়িয়ে গেল লোকাল ট্রেন ৷ এভাবেই গত কয়েকমাসে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রেনের যাত্রী পরিষেবা ৷ ঘটেছে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ৷
![আগুনের ফুলকি প্যান্টোগ্রাফে ! বৈদ্যবাটিতে বিকল লোকাল ট্রেন - LOCAL TRAIN BRAKES DOWN LOCAL TRAIN BROKE DOWN](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/04-08-2024/1200-675-22126005-thumbnail-16x9-baidyabati.jpg)
Published : Aug 4, 2024, 5:32 PM IST
|Updated : Aug 4, 2024, 8:01 PM IST
ডাউন ব্যান্ডেল হাওড়া লোকাল রবিবার ব্যান্ডেল থেকে ঠিক সময় ছাড়লেও বৈদ্যবাটি এসে থমকে যায় বলে জানা গিয়েছে। বৈদ্যবাটির এক নম্বর প্লাটফর্মে সাময়িকভাবে বিকল হয়ে পরে ট্রেনটি। এদিন শ্রাবনী মেলা উপলক্ষ্যে এই ট্রেনেই বহু যাত্রী শেওড়াফুলি আসছিলেন। সেই কারণে প্রায় প্রতিটি লোকাল ট্রেনে ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ায় বাধ্য হয়েই যাত্রীদের বৈদ্যবাটি স্টেশনে নেমে যেতে হয়।
পরবর্তী ব্যান্ডেল লোকালের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। তবে প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বৈদ্যবাটি থেকে ওই লোকাল ট্রেনটি ছাড়ে। জিআরপি ও স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়া ব্যান্ডেল লোকাল ট্রেনটিতে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। ফলে ট্রেনের পিছন দিক থেকে দুই নম্বর প্যান্টোগ্রাফ বিকল হয়ে পড়ে। তার জেরেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেন চালক। পরে প্যান্টোগ্রাফ নামিয়ে দিয়ে ট্রেনটি হাওড়ার দিকে রওনা দেয় লোকাল ট্রেনটি। এক যাত্রী বলেন, "উপরে আগুনের মতো কিছু একটা জ্বলছিল। এর পরে আধঘণ্টা মতো ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। বাধ্য হয়ে অনেকে যাত্রী নেমে অন্য ট্রেন ধরতে চলে যায়।"