দুর্গাপুর, 5 জুন: প্রকাশিত হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ৷ ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসকেই বেছে নিয়েছে বাংলার মানুষ ৷ মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজ্য়ের প্রতিটি এলাকায় জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ এই আবহে তাদের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা ঘটানোর অভিযোগ উঠল ৷ অভিযোগ উঠল সিপিএম নেতার গাড়ি ভাঙচুরের ৷ বুধবার সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুর ৷
সিপিএম নেতার গাড়ি ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল (ইটিভি ভারত) নির্বাচনে ডিআইভি স্কুলের বুথ এজেন্ট ছিলেন দুর্গাপুরের স্টিল টাউনশিপের আইনস্টাইন এলাকার বাসিন্দা সিপিএম শ্রমিক সংগঠনের নেতা প্রসূন পালিত ৷ তাঁর অভিযোগ, "ভোটের দিন বহিরাগতদের নিয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা ৷ তার প্রতিবাদ করেছিলাম ৷ ছাপ্পা ভোট দিতে বাধা দিয়েছিলাম ৷ নির্বাচনের ফল ঘোষণার রাতেই তৃণমূল আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি বাড়িতে চড়াও হয় । ভাঙচুর চালায় তারা ৷ বাড়ির সামনে দাড়িয়ে থাকা গাড়ির কাঁচও ভেঙে দেয় তারা ৷ আমাকে হুমকিও দেয় তারা ৷
যদিও বাম নেতার পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "নির্বাচনের আগে থেকে বিজেপি আর সিপিএম মিলে নানা অভিযোগ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূলের নামে । বিজেপি আর সিপিএম মিলে ভোট লুট করার চেষ্টা চালিয়েছে । জনতার রায় বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার নেত্রী একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাই এখন কী করব, খুঁজে না পেয়ে সিপিএম-র বাবুরা মিথ্যা অভিযোগ আনছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷"
2011 সালে রাজনৈতিক পালাপদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন 'বদলা নয়, বদল চাই'। বিজয় মিছিল বের করার পরিবর্তে তিনি পাড়ায় পাড়ায় রবীন্দ্র সংগীত বাজানোর কথা বলেছিলেন । কিন্তু মঙ্গলবার নির্বাচনের ফল বেরনোর পর দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বেশ কিছু জায়গায় হিংসার ঘটনার অভিযোগ উঠে এসেছে রাজ্যের শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে । বিজয় মিছিলের নামে বেশ কয়েকজন বিরোধীদলের নেতাকর্মীর বাড়ির সামনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে । যদিও এই বিষয়টিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজয়ী সাংসদ কীর্তি আজাদ ৷