কলকাতা, 24 জুন: সাইবার ক্যাফে বানানোর জন্য একজনের থেকে 16 লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন তিলজলার যুবক মহম্মদ ইকবাল ৷ সময় মতো সেই টাকা শোধ করতে পারেননি তিনি ৷ টাকা শোধ দিতে না-পারায় তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ তবে, দুষ্কৃতীরা বেশিদিন পুলিশের চোখ এড়িয়ে থাকতে পারেনি ৷ আজ সকালে ইকবালকে উদ্ধার করার পাশাপাশি, অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে 8 জনকে গ্রেফতার করল লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা ৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি ফ্ল্যাটে আটকে রাখা হয়েছিল ইকবালকে ৷ মোবাইল নম্বরের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ইকবালকে আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, মহম্মদ ইকবালের বাবা সম্প্রতি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং অপহরণকারীরা লক্ষাধিক টাকা চেয়ে ফোনে হুমকি দিচ্ছে ৷ তিলজলা থানা এলাকার এই ঘটনায় তদন্তে নামে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা ৷
তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মহম্মদ ইকবাল দক্ষিণ 24 পরগনায় একটি সাইবার ক্যাফে চালু করেছিলেন ৷ ক্যাফে খোলার জন্য গৈরিক মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির থেকে 16 লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছিলেন ইকবাল ৷ কিন্তু, কোনও একটি কারণে সেই সাইবার ক্যাফেটি বন্ধ হয়ে যায় ৷ ফলে ঋণের টাকা মেটানো বন্ধ হয়ে যায় ৷ দীর্ঘদিন টাকা না-পেয়ে, গৈরিক ধার দেওয়া টাকা ইকবালের কাছে চাওয়া শুরু করেন ৷ অভিযোগ সেই টাকা না পেয়ে, গত শুক্রবার রাতে নিউমার্কেট থানা এলাকা থেকে মহম্মদ ইকবালকে অপহরণ করেন তিনি ৷
এরপর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইকবালকে নিয়ে ঘোরে গৈরিক এবং তাঁর দলবল ৷ সবশেষে মুকুন্দপুরের একটি ফ্ল্যাটে ইকবালকে আটকে রাখা হয় ৷ এমনকি অন্য একটি নম্বর থেকে ইকবালের বাবাকে ফোন করে ধার দেওয়া টাকা মেটাতে বলা হয় ৷ এনিয়ে রবিবার সকালে তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় ৷ আর তারপরেই গৈরিক যে নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন ইকবালের বাবাকে, সেটি ট্র্যাকিংয়ে বসানো হয় ৷ ভোরে নম্বরটি অন হতেই, গুন্ডা দমন শাখার পুলিশ অভিযান নামে ৷ মুকুন্দপুর থেকে মহম্মদ ইকবালকে উদ্ধারের পাশাপাশি, গৈরিক-সহ 8 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷