কলকাতা, 9 মে: বৈশাখেই আষাঢ়ের আমেজ । লক্ষ্মীবারের দুপুরে আকাশে কালো বাদলের ঘনঘটা । সূর্যডোবার আগেই সন্ধ্যা নেমেছে তিলোত্তমায় । বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি গত তিনদিন ধরেই চলছিল। খানিকক্ষণের বৃষ্টিতে পারদ কুপোকাত। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে ।
সাতদিন আগেও তেতাল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । সেই প্রেক্ষিতে লক্ষ্মীবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে 13 ডিগ্রি । ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল । দমকা হাওয়া বইবে তা হাওয়া অফিস জানিয়েছিল । বাড়তি হিসেবে কলকাতার কয়েকটি জায়গায় আকাশ পথে দেখা মিলেছে শিলও । প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের প্রবেশ এবং বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল এবং মধ্যপ্রদেশের ওপর জোড়া ঘুর্নাবর্তের অবস্থান । ফলসরূপ এই বৃষ্টি পরিস্থিতি ।
দমকা হাওয়া বইবে তা হাওয়া অফিস আগেই জানিয়েছিল । আজ দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ, দুই জায়গাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । হুগলি, নদিয়া, বাঁকুড়া, দুই চব্বিশ পরগনা, বীরভুম, মুর্শিদাবাদে দুপুরেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে । হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দিনের বাকি সময়ও এই পরিস্থিতিই থাকবে ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামী সাতদিন পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে । আজ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে । একই সঙ্গে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে । উত্তরবঙ্গে মালদা, দিনাজপুর, জলপাইগুড়িতে পঞ্চাশ থেকে ষাট কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে । ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে ।