মেদিনীপুর, 18 নভেম্বর: ডাকাতির ছক বানচাল ৷ ঘাটাল থেকে 13 জন ভিন রাজ্যের কুখ্যাত ডাকাতকে ধরল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। প্রায় 8 ঘণ্টার অপারেশনে তাদের পাকড়াও করে জেলা পুলিশ।
পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ওই 13 জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফাতরের পরই সাংবাদিক বৈঠক করে রবিবার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।
রবিবার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। (ইটিভি ভারত) ধৃতিমান সরকার এদিন বলেন, "এরা সকলেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের। এদের উদ্দেশ্য ছিল বড় কারখানায় এবং ব্যাঙ্ক লুট করার।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা এসটিএফ সূত্রে জেলা পুলিশের কাছে খবর আসে একটি বড় গ্যাং তথা এক ডাকাতবাহিনী ভিন রাজ্য থেকে জড়ো হয়েছিল এই জেলায় ৷ তারা বড় ধরনের অপরাধের ছক কষছে। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ঘাটাল এবং চন্দ্রকোনা পুলিশ নিয়ে তড়িঘড়ি একটি টিম করেন ৷
ভিন রাজ্যের 13 জন দুষ্কৃতী (নিজস্ব চিত্র) দুপুর 12টা থেকে সারাদিনব্যাপী চলে অপারেশন। অবশেষে 8 ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে কুখ্যাত 13 জন ডাকাতকে অস্ত্রশস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ।
ডাকাতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ৷ যার মধ্যে রয়েছে কিছু দেশি তিনটি পিস্তল, 10টি কার্তুজ। এদের উদ্দেশ্য ছিল বড় কোনও কারখানায় ডাকাতি করা ৷
ডাকাতদের গ্রেফতার করে তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র (নিজস্ব চিত্র) সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, "আমরা প্রায় 8 ঘণটার রুদ্ধশ্বাস অপারেশনে ওদের ধরেছি। ওরা আগে থেকেই হাওড়া ও কলকাতার আশপাশে ঘাঁটি গেড়েছিল ৷ এরপর তারা জেলায় ঢুকেছে ৷ তদন্তের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি ওই 13 জনের মধ্যে একজনের নাম রঞ্জিত ৷ সে জেলে ছিল ৷ জেল থেকেই বাকি কুখ্যাত ডাকাতদের নিয়েই এই ডাকাতির প্ল্যান করে ৷ যদিও এই ঘটনায় তাদের যথোপযুক্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে বাকি তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।"