পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

কয়েক লক্ষ টাকা হাতবদল ! পাসপোর্ট-কাণ্ডে প্রাক্তন এসআই-কে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য - FAKE PASSPORT CASE

জাল পাসপোর্ট-কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এসআই-কে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল লালবাজার ৷ তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতবদল হয়েছে ৷

ETV BHARAT
পাসপোর্ট-কাণ্ডে প্রাক্তন এসআই-কে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য (ফাইল চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 6, 2025, 2:05 PM IST

কলকাতা, 6 জানুয়ারি:রাজ্যজুড়ে জাল পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় ধৃত কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইনস্পেকটর আবদুল হাইকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল লালবাজার ৷ তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে কয়েক লক্ষ টাকা হাতবদল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷

পুলিশের সন্দেহ, এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন পুলিশের নিচুতলার কর্মী থেকে শুরু করে পদস্থ আধিকারিকরাও । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সাব ইনস্পেকটর আবদুল হাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ যে প্রশ্ন নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তা হল, কেন ওই এসআই এক বছর আগেই অবসর নিয়েছিলেন ? কার কথায় তিনি আগাম অবসর নিলেন ? তদন্তে লালবাজারের গোয়েন্দারা একজন হোমগার্ড, কয়েকজন কনস্টেবল ও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদের আধিকারিকের নাম পেয়েছেন । তবে সবকিছুই তদন্ত করে দেখতে হবে ।

চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল লালবাজার (নিজস্ব চিত্র)

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমরা সব দিক বিবেচনা করে দেখছি ।" গত শুক্রবার তাঁকে উত্তর 24 পরগনা অশোকনগর থানার অন্তর্গত হাবরা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

লালবাজার সূত্রের খবর, আবদুল হাই নামে কলকাতা পুলিশের ওই সাব-ইনস্পেকটর সিকিয়োরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে (এসসিও) 2013 থেকে 2023 সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন । ফলে তাঁর সঙ্গে একাধিক এজেন্টের পরিচয় থাকতে পারে । সেখানে কাজ করার সময়েই টাকার বিনিময়ে চক্রীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি ভুয়ো পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করেছিলেন বলে আবদুলকে জেরা করে জানতে পারেন তদন্তকারীরা । এছাড়াও তাঁর ব্যাঙ্কের নথি দেখে কয়েক লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে ।

কলকাতা পুলিশের হাতে এই পাসপোর্ট কাণ্ডে আগে গ্রেফতার হয়েছে সমরেশ বিশ্বাস, মনোজ গুপ্তা-সহ একাধিক অভিযুক্ত । এঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় প্রায় 15 লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছিল আবদুলকে । আর এখানেই গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, কেন একজন সাব ইনস্পেকটরকে পাসপোর্ট কাণ্ডের ধৃতরা টাকা পাঠাল ? তাও আবার লক্ষাধিক টাকা ? তদন্তে নেমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, গত দু'বছরে এই টাকার লেনদেন হয়েছে । তারপর তিনি অবসর নিয়েছেন ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details