কলকাতা, 5 ডিসেম্বর: উত্তর কলকাতায় ফুটপাথে শিশুকন্যাকে যৌন হেনস্তার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করল লালবাজার ৷ অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার গোপীবল্লভপুর থানা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা ৷ ধৃত অভিযুক্তের নাম রাজীব ঘোষ ৷
এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই ঘটনার তদন্তে নেমে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছি ৷ পাশাপাশি, রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি আমরা ৷ এই সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটেই রাজীব ঘোষ নামে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ তাঁকে ইতিমধ্যেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার জন্য তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন ৷"
চলতি সপ্তাহে উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় ফুটপাথ থেকে উদ্ধার করা হয় সাত মাসের এক শিশুকন্যাকে ৷ কান্নার শব্দ শুনে এলাকাবাসীরা ঘটনাস্থলে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুকন্যার গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে ও রক্ত বের হচ্ছিল ৷
অভিযোগ কেউ বা কারা ওই সাত মাসের শিশুকে ফুটপাত থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করে ৷ তারপর ফের তাকে সেই জায়গায় রেখে গিয়েছিল ৷ এরপরেই বড়তলা থানায় পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয় ৷ স্থানীয় থানার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ এরপর ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের বিশেষ বাহিনী ৷
ওই শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেন কলকাতা পুলিশের মহিলা সেলের গোয়েন্দারা ৷ এরপরেই পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করে কলকাতা পুলিশ ৷ ফুটপাথে বসবাসকারীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলা হয় ৷ এরপর রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা ৷ সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটেই অভিযুক্তের সন্ধান পায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ৷ তবে, এই ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা ছিল, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি ৷
এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের এক পদস্থ কমিশনার বলেন, "এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ একজন অভিযুক্তের সন্ধান আমরা পেয়েছি এবং তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ তবে, ঘটনাটি কারও একার পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় ৷ নিশ্চয়ই এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে ৷ তদন্ত করে তারও সন্ধান চলছে ৷ ঘটনায় একেবারে যবনিকা পতন না-হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো মুশকিল ৷"