কলকাতা, 29 জানুয়ারি: বাঘাযতীন-কাণ্ডের জের। এবার এলবিএস-দের মতোই হাউজ লিফটিং সংস্থার তালিকার তৈরির পরিকল্পনা নিল কলকাতা কর্পোরেশন। বাড়ি লিফটিংয়ের কাজে পারদর্শী হরিয়ানার এআরবিআর হাউজ লিফটিং সার্ভিস। সেই সংস্থার কর্তারা বুধবার কলকাতা পুরনিগমে এসে দেখা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়।
বাঘাযতীন বহুতল কাণ্ডের পর হুঁশ ফিরেছে কলকাতা পুরনিগমের। হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার পরামর্শও নেওয়া শুরু হয়েছে। হরিয়ানার এই সংস্থার পরামর্শ নিচ্ছে কলকাতা পুরনিগম। সেই সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বৈঠকও করলেন ৷ পরবর্তী কালে কলকাতায় হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তার প্রাথমিক ধারণা নিতেই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে পুর কমিশনার ধবল জৈন ও বিল্ডিং বিভাগের ডিজি উজ্জ্বল সরকার-সহ আধিকারিকরা এবং পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন। পরবর্তী কালে হেলা বাড়ি সোজা করতে কলকাতা কর্পোরেশনের অনুমতির পাশাপাশি এসওপি তৈরি করার ভাবনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, কেউ বাড়ি তৈরি করলে তাঁকে নকশা অনুমোদনের জন্য লাইসেন্স বিল্ডিং সার্ভেয়ার (এলবিএস)-র কাছে যেতে হয়। তাঁদের প্রত্যেকেরেই নাম আছে কলকাতা কর্পোরেশনের তালিকায়। একইভাবে আর্কিটেক্ট ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারও আছেন। শহরে যদি পুরোনো হেলা বাড়ি বা ভবিষ্যতে নতুন করে বাড়ি হেলে যায় সেক্ষেত্রে ইচ্ছা মতো সংস্থাকে দিয়ে না করিয়ে কর্পোরেশনের নথিভুক্ত পারদর্শী সংস্থাকে দিয়েই কাজ করার নিয়ম আনতে চলেছে পুর-কর্তৃপক্ষ। বাঘাযতীন কাণ্ডে দেখা গিয়েছে প্রোমোটার হরিয়ানার একটি সংস্থার ক্যাপাসিটি না দেখেই কম পয়সায় বহুতল লিফটিং করার বরাত দেয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি।
সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ধরনের কাজে পারদর্শী সংস্থাকে কর্পোরেশন নথিভুক্ত করতে চাইছে। যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় তাদের দিয়ে কাজ করানো যায় সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে, ঝুঁকিহীনভাবে। এই বিষয় এক আধিকারিক জানান, ওই সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা কী প্রযুক্তি ব্যবহার করে, কীভাবে কাজটি করে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কাজ করতে গিয়ে কীভাবে খরচ নির্ধারণ করা হয়, সেটাও জানা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে মানুষ কর্পোরেশনের নথিভুক্ত এক্সপার্ট সংস্থা দিয়ে ঝুঁকিহীনভাবে কাজটি করাতে পারে।