গঙ্গাসাগর, 6 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রম ৷ ভারতের শতাধিক তীর্থক্ষেত্রের অন্যতম ৷ কিন্তু, বর্তমান কপিলমুনির আশ্রম আগের তিনটির মতোই সাগরে তলিয়ে যেতে পারে ৷ কারণ, মন্দিরের সামনে সাগরে কংক্রিটের বাঁধ নেই ৷ এবার সেই কংক্রিটের বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি নিজেদের হাতে তুলে নিল কপিলমুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষ ৷
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত জ্ঞান দাস জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলায় যে অনুদান ও প্রণামী জমা হয়, তার 25 শতাংশ কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করতে খরচ করা হবে ৷ উল্লেখ্য, সোমবার কপিলমুনির আশ্রম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত জ্ঞান দাসকে এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ৷ তাঁর সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন মহন্ত ৷
কপিলমুনি মন্দিরের প্রণামীর 25 শতাংশ টাকা খরচ হবে বাঁধ তৈরিতে ৷ (ইটিভি ভারত) মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি এখানকার মহারাজ প্রধান পুরোহিত মহন্ত জ্ঞান দাসজিকে একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম ৷ সারা বছর কপিলমুনির আশ্রমে অনেক ভক্ত সমাগম হয় ৷ সেখানে অনেক অনুদান ও প্রণামী জমা পড়ে ৷ গঙ্গাসাগর মেলার সময়ও প্রায় এক কোটি পুণ্যার্থী আসেন ৷ অনেক মোটা অংকের অনুদান দেন ৷ যে টাকার পুরোটাই অযোধ্যায় ওঁদের মূল মন্দিরে চলে যায় ৷ তাই আমি মহারাজকে বলেছি, ওই টাকার 25 শতাংশ দিয়ে মন্দিরের সামনে কংক্রিটের বাঁধ তৈরিতে খরচ করতে ৷"
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, "মহারাজ আমার প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেছেন ৷ উনি বলেছেন, 'আপনি যা বলবেন, তাই হবে' ৷ ওঁরা (মন্দিরের অন্যান্য সদস্যদের দেখিয়ে) সামনে ছিলেন ৷ আমরা মুড়িগঙ্গায় সেতু করে দেব ৷ আর ওঁরা বাঁধটা করে নিলে, আর কারও দয়ায় আমাদের থাকতে হবে না ৷"
কপিলমুনির আশ্রমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ (নিজস্ব ছবি) পরবর্তী সময়ে কপিলমুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, "এবারে পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা আয় হবে, তার 25 শতাংশ টাকা মন্দিরের কংক্রিটের বাঁধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হবে ৷" এ প্রসঙ্গেই গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার দাবিও তোলেন মমতা ৷