রায়গঞ্জ, 30 অক্টোবর: কালীপুজোর দিনই সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ পুজোর পর সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন হয় প্রতিমা ৷ রাতেই মন্দিরে দেবীর পুজো হয় আর সূর্য ওঠার আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব এখানেই।
কথিত আছে এই পুজো প্রায় 500 বছরেরও বেশি প্রাচীন। দিনাজপুরের জমিদার মহারাজা গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাতে মায়ের পুজো শুরু হলেও বর্তমানে স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যরাই পুজোর আয়োজন করে থাকে। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশকিছু গল্পকথাও। শোনা যায়, একটা সময় দিনাজপুরের রাজা ঘোড়ার গাড়ি করে এই স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই গাড়ির চাকা আটকে যায় এই এলাকায়। সেদিন রাতেই রাজাকে মা স্বপ্নাদেশ দেন, এই স্থানে পুজো করার জন্য। সেই নির্দেশ মেনেই রাজার হাতে পুজো শুরু হয় কালীর। জমিদার গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাত ধরেই পুজো শুরু হয় এখানে দেবীর।