পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ট্যাব দুর্নীতিতে প্রায় 200টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, তদন্তে মালদা পুলিশ

ট্যাবের টাকা দুর্নীতিতে 181টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ ৷ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করে তদন্তে মালদা জেলা পুলিশ।

TAB SCAM IN WEST BENGAL
স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 14, 2024, 10:19 AM IST

মালদা, 14 নভেম্বর: ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার পিছনে বড় চক্র কাজ করছে। অন্তত জেলা পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত থেকে এমনই উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে এই চক্রের সন্ধান পেতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করেছে মালদা জেলা পুলিশ। ফ্রিজ করা হয়েছে 181টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ধরেই তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিট।

ঘটনাপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে পাঁচটি এফআইআর করা হয়েছে। হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুল ও হরিশ্চন্দ্রপুরের কানুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের অভিযোগের ভিত্তিতে 2টি করে এবং গাজোলের ডিবি কেয়ার হাইস্কুলের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত 181টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির কেওয়াইসি ডিটেলস বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থেকে চাওয়া হয়েছে।

তদন্তে মালদা পুলিশ (ইটিভি ভারত)

তিনি আরও বলেন, "সেই তথ্য পাওয়ার পরে বলা সম্ভব হবে কোথায় কোথায় ট্যাবের টাকা গিয়েছে। এই পাঁচটি এফআইআর তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) সম্ভব জৈনের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছে। সেই টিমে সাইবার ক্রাইম থানার অফিসাররাও রয়েছেন। কোন কোন আইপি অ্যাডরেস থেকে সাইটে অ্যাকসেস করা হয়েছে তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। বৈষ্ণবনগর থেকে যাদের পূর্ব বর্ধমান থানার পুলিশ আটক করেছে তাদের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, আমরা সেটাও খতিয়ে দেখছি ।"

পুলিশ সুপারের বয়ান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত 181টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার বদলে এই 181টি অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। একই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা লোপাটের ঘটনাও সেভাবে জেলা পুলিশের নজরে আসেনি। এই তথ্য থেকে সহজেই অনুমান করা যেতে পারে, যদি একই ব্যক্তির নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট না-থাকে তবে এই দুর্নীতির পিছনে একটি বড় চক্র কাজ করছে। দুর্নীতিতে ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট কাদের নামে রয়েছে, সেই তথ্য জেলা পুলিশের হাতে এলেই তদন্তের অভিমুখ কোনদিকে যাচ্ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাবে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details