কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: শহরে থাবা বসিয়েছে ইরানি গ্যাং । সেই গাংয়ের মূল পাণ্ডাকে ধরতে এবার ভিন রাজ্যেও জাল বিস্তার করছে লালবাজার ৷
শুক্রবার বাংলা থেকে ইরানি গ্যাংয়ের ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বাংলা নয়, বরং এদের সদস্যরা গোটা দেশ জুড়ে নিজেদের জাল বিস্তার করেছে । গুজরাত, রাজস্থান, কেরল, তামিলনাড়ু ছড়িয়ে রয়েছে তাদের জাল ।
ইরানি গ্যাংয়ের 6 সদস্য গ্রেফতার (নিজস্ব ছবি) এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "বাংলায় এই গ্যাংয়ের জাল গোটাতে প্রথম আমরা সাফল্য পেয়েছি । তবে এদের মাথাকে গ্রেফতার করতে ইতিমধ্যেই একাধিক ভিনরাজ্যের পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলছি ।"
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে কলকাতা, চেন্নাই, কেরালা, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যের বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ইরানি গ্যাংয়ের সদস্যরা । এরপর ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে গিয়ে অভিযানের নামে ভয় দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও গয়না আত্মসাৎ করার অভিযোগ ।
মাসখানেক ধরে কলকাতার মুচিপাড়া, বড়বাজার, বউবাজার, গড়িয়াহাট থানায় এই প্রকারের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে । তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ছ'জনকে গ্রেফতার করে । কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "এই গ্যাংয়ের নাম ইরানি গ্যাং । এরা শুধু কলকাতায় নয় । বরং আরও অনেক রাজ্যে এই অপারেশন করেছে । অবশেষে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ।"
লালবাজার সূত্রের খবর, এই ঘটনার তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে মোট ওই ছ'জনকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের নাম, নবাব আলি, ও আলি ভগবান ৷ দু'জনই কর্নাটকের বাসিন্দা । আলি রাজা, আমজাদ আলি, ইকবাল বরকত ও ফিরোজ আলি, চারজনই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ।
এদের শহরের একাধিক জায়গা থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । মূলত তাদের কাছ থেকে একাধিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । সেখানে একাধিক ব্যবসায়ীর নাম ও ঠিকানা আছে । সব দিক খতিয়ে দেখছে লালবাজার । তদন্তে নেমে ভিন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবেন গোয়েন্দারা ।