রামপুরহাট, 1 অক্টোবর: থ্রেট কালচারের তদন্তে কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য ভবন ৷ রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ও দুই প্রাক্তন ডিন-এর বিরুদ্ধে হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগ উঠেছে ৷ তার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হল ৷ এই হাসপাতালেও অভীক দে'র ঘনিষ্ঠদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷
এমবিবিএস পরীক্ষার আসন বিন্যাস, নম্বরে কারচুপি করে হেরফের-সহ থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের এই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ করবী বড়াল, প্রাক্তন দুই ডিন স্বরূপ সাহা ও কৌশিক করের নামে ৷ এই মর্মে 24 সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য-শিক্ষা দফতর ও স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 51 জন পড়ুয়া ৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার 5 সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ৷
হুমকি সংস্কৃতির তদন্তে কমিটি গঠন (ইটিভি ভারত) অভিযোগ, এমবিবিএস পরীক্ষায় বসার সিট বিন্যাস থেকে শুরু করে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর সবই নাকি মস্তানি, দাদাগিরি, হুমকির মাধ্যমে হয়েছে ৷ ইতিমধ্যে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত চিকিৎসক অভীক দে'র নাম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ৷ তিনি আরজি করের নির্যাতিতার ধর্ষণ-খুন এবং হাসপাতালের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে ৷ তাঁকে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর ৷
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অভীক দে'র ঘনিষ্ঠ এমবিবিএস পাঠরতা ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হত ৷ সবটাই হয়েছে অভিযুক্ত তিন জনের আদেশে ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গড়েছে স্বাস্থ্য ভবন ৷ যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে ৷
এদিকে সোমবার আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় ৷ তাতে চিকিৎসকদের জরুরি পরিষেবা-সহ ওপিডি-তে ফেরার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ ৷ কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি সম্পূর্ণ মানেনি রাজ্য সরকার ৷ এই অভিযোগে তাঁরা পূর্ণ কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷