পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

মালদায় বাড়ছে নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার, স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন প্রশাসন - Malda

Minor Pregnancy Death in Malda: মালদা জেলায় নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার নিয়ে চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দফতর ৷ সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে নাবালিকাদের গর্ভবতী হওয়া এবং নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ সেই কারণেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন ৷ অবিলম্বে নাবালিকা বন্ধে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে ৷

Malda Medical
Malda Medical

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 2, 2024, 1:22 PM IST

মালদায় বাড়ছে নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার, স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন প্রশাসন

মালদা, 2 মার্চ: মালদা জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার ৷ বাড়ছে নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যাও ৷ স্বাস্থ্য দফতরের সমীক্ষাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে ৷ এই নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন৷ প্রশ্ন উঠেছে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভূমিকা নিয়েও ৷ নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করতে প্রশাসনের কড়া উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সবাই ৷

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, 2021-22 বর্ষে মালদা জেলায় নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার ছিল মোট মৃত্যুর 23.61 শতাংশ ৷ 2023-24 বর্ষে সেই হার বেড়ে দাঁড়ায় 27.14 শতাংশে ৷ আর চলতি বছরের প্রথম দু’টি মাসে 15 থেকে 24 বছর বয়সী মায়ের মৃত্যুর হার প্রায় 55 শতাংশ ৷ এর মধ্যে সিংহভাগের বয়স 18 বছর হয়নি বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে ৷ বছর শেষে এই পরিসংখ্যান কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে, তা চিন্তা করে এখন থেকেই আতঙ্কিত স্বাস্থ্যকর্তারা ৷

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, “শেষ যে সার্ভে হয়েছিল তাতে মালদা জেলায় গর্ভবতীদের মধ্যে প্রায় 21 শতাংশ নাবালিকা ছিল ৷ বর্তমানে সেই হার অবশ্য 19 শতাংশে নেমে এসেছে ৷ কিন্তু এই পরিসংখ্যানও যথেষ্ট চিন্তার ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, মালদা জেলায় 15 থেকে 19 বছর বয়সী মেয়েদের মাতৃকালীন অবস্থায় মৃত্যুর পরিসংখ্যান ৷ এই পরিসংখ্যান আরও বেশি৷ নাবালিকা মায়ের মৃত্যুর হার প্রায় 24 শতাংশ ৷ আর যদি আমরা 15 থেকে 24 বছর বয়সকে এই পরিসংখ্যানে ধরি, সেক্ষেত্রে মাতৃ-মৃত্যুর হার প্রায় 35 শতাংশ ৷ একটি বিষয় পরিষ্কার, আমাদের নাবালিকা বিয়ে ও নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যা কমাতেই হবে ৷”

প্রশ্ন অন্য জায়গায়৷ বাল্যবিবাহ রোধে রাজ্য সরকারের অন্যতম প্রধান অস্ত্র কন্যাশ্রী প্রকল্প ৷ কেন্দ্রের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পও বাল্যবিবাহ বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই তৈরি ৷ কিন্তু সরকারি প্রকল্প কি সঠিকভাবে জেলায় প্রয়োগ হচ্ছে ? নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে প্রশাসনের তরফে গ্রামেগঞ্জে প্রচার অভিযান চালানো হয় ৷ করা হয় সচেতনতা শিবিরও ৷ কিন্তু সেসব কতটা কাজে আসছে, স্বাস্থ্য দফতরের এই পরিসংখ্যান সামনে আসার পর, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ৷

মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান সত্যিই ভীষণ উদ্বেগজনক ৷ প্রশাসনের তরফে বাল্যবিবাহ রোধে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ৷ কোথাও নাবালিকা বিয়ের খবর জানা গেলে প্রশাসন ও পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তা বন্ধ করছে ৷ কিন্তু বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে ৷ আরও সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের ৷ স্বাস্থ্য দফতরের এই পরিসংখ্যান সেকথাই বলছে ৷”

আরও পড়ুন:

  1. জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির নির্দেশ, মালদায় শিশু বিক্রি কাণ্ডে অভিযোগ দায়ের পুলিশের
  2. সরকারি হস্টেলে সন্তানের জন্ম দিল ছাত্রী, সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে পুলিশ
  3. 28 হাজার নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা এক বছরে, উদ্বেগের রিপোর্ট দক্ষিণের এই রাজ্যে

ABOUT THE AUTHOR

...view details