কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: 'নন্দীগ্রাম এবং সিঙ্গুরের সময় কী কী ঘটনা ঘটেছিল তা সবাই জানে। বাংলার মানুষকে বলা হয়েছিল রাজনৈতিক পালা বদল হলেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর এখন কী হচ্ছে সেটা তো দেখাই যাচ্ছে!'। সন্দেশখালির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এভাবেই কড়া সমালোচনা করল হাই-পাওয়ার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। একাধিকবার এই ধরনের নানা অভিযোগ উঠছে। তা খতিয়ে দেখতে 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অফ হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন'র অন্তর্গত একটি উচ্চ পর্যায়ের দল দু'দিনের রাজ্য সফরে আসে। 6 সদস্যের সেই টিম রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদের ভোজেরহাটে আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে একাধিক বার কথার পর অবশেষে তাদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। এরপর বন্ডে সই করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা।
সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা এদিনের সন্দেশখালি যাওয়ার সময়ে পুলিশি বাধার কথাও তুলে ধরেন। এই প্রসঙ্গে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা বলেন, "আমরা সন্দেশখালি যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের আটকায়। ওঁরা যুক্তি দেয়, ওখানে 144 ধারা লাগু আছে বলে যাওয়া যাবে না। আমরা বলি এখানে 6 জন আছেন। তার মধ্যে দুই জন মহিলা। অন্ততপক্ষে আমাদের শুধু মহিলা সদস্যদের যেতে দিন ৷ ভোজেরহাটে দুই আইপিএস অফিসার আমাদের আটকান। আমরা বলেছিলাম, আমাদের আটকানোর কারণ কী ? ওখানে তো মন্ত্রী, বিধায়করা গিয়ে ভিড় করছেন। হটাৎ করেই পুলিশ মরিয়া হয়ে আমাদের পুলিশ ভ্যানে তোলে। তারপর আমাদের লালবাজারে আনা হয়।"
এমনকী যখন নিরাপত্তার কথা বলে পুলিশ, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকায় কোনও সমস্যা না হওয়ার কোথাও জানায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তাঁরা বলেন, "আমরা পুলিশকে বলেছিলাম আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তার কোনও খামতি হবে না। রামনবমীতেও আমাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছিল। আসলে পুলিশ এখানে রাজনৈতিক এজেন্ট।"