মেদিনীপুর, 20 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডে সাসপেন্ড হওয়া সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ালেন আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি ড. চন্দন ঘোষাল ৷ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর এমনটাই জানালেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ৷ সাসপেন্ডেড চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আইনি সাহায্যে আশ্বাস দিলেন সংগঠনের সভাপতি ৷
এর পাশাপাশি, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি ৷ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ তাঁদের সে কথা জানিয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, এ দিন আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি ড. চন্দন ঘোষালের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধি দল সেখানে যায় ৷
বিষ স্যালাইন-কাণ্ড: ডাক্তারদের কোনও ত্রুটি পাচ্ছি না, মন্তব্য় আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতির (ইটিভি ভারত) প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি ড. চিরঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, ড. রতন চক্রবর্তী, ড. শুভদীপ বোস এবং মেদিনীপুর শাখার সভাপতি ড. কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত ৷ প্রতিনিধি দল এ দিন আংশিক কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলে ৷
ড. চন্দন ঘোষাল বলেন, "আমি অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তিনি জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের তরফে সেদিন প্রসূতি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের শোকজ করা হয়নি ৷ এমনকি তাঁদের সাসপেন্ড করার সুপারিশও করেনি কর্তৃপক্ষ ৷ হাসপাতালের তরফে একটি কমিটি গঠন করে, পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ৷ সেই রিপোর্ট দেখে হাসপাতাল সিদ্ধান্ত নেবে ৷"
আংশিক কর্মবিরতিতে বসা মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করল আইএমএ বেঙ্গলের প্রতিনিধি দল ৷ (ইটিভি ভারত) এর পাশাপাশি, লিঙ্গার ল্যাক্টেট স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু প্রসঙ্গে আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি বলেন, "পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তো প্রকাশ হয়েছে ৷ সেখানে কোথাও মেডিক্যাল নেগলেজেন্সির কথা উল্লেখ করা হয়নি ৷ সার্জারিতে ভুল থাকলে বা মেডিক্যাল কোনও গাফিলতি থাকলে, সেই জায়গা থেকে ফ্লুইড বেরতো ৷ এখানে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ বরং ইনফেকশনের কারণে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে ৷ কিসের থেকে এই ইনফেকশন হল, সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে ৷"
এরপরেই তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত সিনিয়র বা জুনিয়র ডাক্তারদের কোনও গাফিলতি আমরা পাইনি ৷ তাঁরা সকলে নিজের-নিজের ডিউটি করেছেন ৷ একজনের কোর্ট কেস ছিল ৷ তিনি আদালত থেকে ফিরে কাজে যোগ দিয়েছেন ৷" তবে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দাবি অনুযায়ী, তিনি সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না ৷
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি ডা. চন্দন ঘোষাল ৷ (ইটিভি ভারত) তাহলে প্রশ্ন উঠছে, কে বা কারা, কেন সাসপেন্ড করলেন সেদিন ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ৷ এ নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন আইএমএ বেঙ্গলের সভাপতি এবং বাকি সদস্যরা ৷ তবে, সাসপেন্ড হওয়া তেরোজন চিকিৎসককে আইনি সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে গেলেন তাঁরা ৷
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বললেন আইএমএ সদস্যরা ৷ (ইটিভি ভারত)