ঝাড়গ্রাম, 29 অগস্ট: মানস পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল স্বামীর। 20 টাকার ইন্সুরেন্স থাকায় 2 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন স্ত্রী । বৃহস্পতিবার দুপুরে ইন্সুরেন্সের 2 লক্ষ টাকার চেক ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর হাতে তুলে দেয় ব্যাঙ্ক ও ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত আঁধারিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রবীর জানা 2023 সালের জুন মাসে মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুতের লাইন ঠিক করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রবীর বাবুর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের তপসিয়া শাখায় একটি প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা 20 টাকার ইন্সুরেন্স করা ছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের 2 লক্ষ টাকার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রবীর বাবুর স্ত্রী ঝুমা জানা আবেদন জানায় । কিন্তু, কোনও কারণে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের টাকা ঝুমাকে দিতে অস্বীকার করে।
এই অবস্থায় চলতি বছরের মার্চ মাসে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ঝুমা। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি প্রিলিটিকেশনের মামলা রুজু করে করে আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ। নোটিশ করে ব্যাঙ্ক এবং ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষকে ডেখে পাঠানো হয়। তারপরেই সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ঝুমার হাতে 2 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব তথা বিচারক সুক্তি সরকার বলেন, "ঝুমা জানা নামের এক মহিলা আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। ব্যাঙ্কে ওনার স্বামীর নামে একটি ইন্সুরেন্স ছিল, যার ক্ষতিপূরণের মূল্য ছিল 2 লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্কে আবেদন করার পরেও ক্ষতিপূরণের টাকা পাচ্ছিলেন না ওই মহিলা । আমাদের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই একটি মামলার রুজু করা হয় । নোটিশ পাঠিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং ইন্সুরেন্স কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয় । তারপর সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর 2 লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক ইন্সুরেন্স কোম্পানি ঝুমা জানার হাতে তুলে দিয়েছে। আমরা ওনাকে সাহায্য করতে পেরে অত্যন্ত খুশি ।"
স্বামীর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের 2 লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ঝুমা জানা বলেন, "মনসা পুজোর দিন বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। স্বামীর ইন্সুরেন্স বাবদ ক্ষতিপূরণের 2 লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাকে দিচ্ছিল না ৷ ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতেই আমাকে ক্ষতিপূরনের টাকা দেওয়া হয়েছে ।"