হাওড়া, 8 অগস্ট: সালটা 2011-এর 2 জানুয়ারি। হাওড়ার আন্দুল এলাকার আরগড়ির কোলে পরিবারে আসেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন স্বান্ত্বনাও। এরপর রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদল হলেও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আজও মনে রেখেছেন আন্দুল আরগড়ির কোলে পরিবার। বৃহস্পতিবার বেলায় বুদ্ধবাবুর মৃত্যুর খবরে শোকাহত কোলে পরিবারের প্রতিটি সদস্য।
বুদ্ধবাবুর মৃত্যুতে শোকাহত আরগড়ির কোলে পরিবার - Buddhadeb Bhattacharjee
Buddhadeb Bhattacharjee Passes Away: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শোকাহত আন্দুলের আরগড়ির কোলে পরিবার। এসএফআই নেতা স্বপন কোলের মৃত্যু হয় ৷ এরপর এই বাড়িতে এসেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
Published : Aug 8, 2024, 8:26 PM IST
2010 সালের 15 ডিসেম্বর আন্দুলের প্রভু জগদবন্ধু কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কেন্দ্র করে এসএফআই ও টিএমসিপি'র মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। গুরুতর জখম হন এসএফআই নেতা স্বপন কোলে। পরের দিন তাঁর মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। ওই ছাত্র সংঘর্ষে কোলে পরিবারের ছেলে স্বপন কোলের মৃত্যুর পর এই বাড়িতে এসেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের। চাকরিও দিয়েছিলেন স্বপনের বড় দাদা তাপস কোলেকে। আশ্বাস দিয়েছিলেন দোষীদের শাস্তির।
সেই 2011 থেকে 2014 , মাঝে বয়ে গেছে 13টি বছর। 2011 সালের 2 জানুয়ারি স্বপনের বাড়িতে এসেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর এদিন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত শোকাহত কোলে পরিবার। প্রয়াত স্বপন কোলের মা বলেন, "খবরটা শুনেই ভীষণ কষ্ট লাগছে। কারণ আমার ছোটো ছেলের মৃত্যুর পর বুদ্ধবাবু আমাদের মত দরিদ্র পরিবারের বাড়িতে এসেছিলেন। বিধানসভায় চাকরি দিয়েছেন বড় ছেলে তাপসকে। দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন।" মৃত স্বপনের বড় ভাই তাপস কোলে বলেন, "তখন তাদের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিল। বুদ্ধবাবু না থাকলে আমরা ভেসে যেতাম। তাই তার মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।" বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আত্মার শান্তি কামনা করেন কোলে পরিবারের সদস্যরা।