মালদা, 9 ফেব্রুয়ারি: মালদা শহরে কিশোরীকে অপহরণের পর ধড়-মুণ্ডু আলাদা করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি ৷ এরই মধ্যে বিকেলবেলা বাড়ি থেকে দোকানে জিনিস কিনতে গিয়ে উধাও হয়ে গেলেন এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷ গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানা এলাকায় ৷ এই ঘটনায় বুধবার বিবাহিত ওই ছাত্রীর বাপের বাড়ির তরফে গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত সেই পরীক্ষার্থীর কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ ৷ এই খবর চাউর হতেই ফের আতঙ্কের রেশ জেলাজুড়ে ৷
নিখোঁজ পরীক্ষার্থীর বয়স 19 বছর ৷ বছর দেড়েক আগে ভূতনি থানা এলাকায় তাঁর বিয়ে হয় ৷ যদিও বিয়ের পর পড়াশোনার জন্য বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি ৷ স্থানীয় শ্যামসুখী বালিকা বিদ্যানিকেতনের ছাত্রী ৷ আগামী 16 ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে ৷ মঙ্গলবার বিকেলে কিছু জিনিস কিনতে বাড়ির কাছেই একটি দোকানে গিয়েছিলেন ৷ তারপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই ৷
নিখোঁজ ছাত্রীর মায়ের বক্তব্য, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে 11টা নাগাদ মেয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে ৷ বিকেল চারটে নাগাদ ফিরে আসে ৷ আমি অসুস্থ ৷ ওষুধ চলছে ৷ ওষুধের প্রভাবে ঘুমও হয় ৷ সেদিনও মেয়ে ঘরে ফেরার সময় আমি ঘুমিয়েছিলাম ৷ বাড়ি ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে ও দোকানে যায় ৷ খানিকবাদে আমি ওকে চা খাওয়ার জন্য ফোন করি ৷ তখন ও আমার ফোন ধরেছিল ৷ ওকে বাড়ি আসতে বলি ৷ ও ঘরে না ফেরায় মিনিট কয়েক পর ওকে ফের ফোন করি ৷ তখন থেকে মেয়ের ফোনের সুইচ অফ ৷ মেয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি ৷ নিজে অসুস্থ বলেই আমি নাবালিকা অবস্থাতেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম ৷ তবে তার আগে জামাইয়ের সঙ্গে চুক্তি করে নিই, ও সাবালিকা হলে তারপর শ্বশুরবাড়ি যাবে ৷ এই ঘটনায় একটি ছেলের উপর আমার সন্দেহ রয়েছে ৷ মাঝে মধ্যে ওই ছেলেটি আমাকে ফোন করে হুমকি দিত ৷ যদিও আমি তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিইনি ৷ ও আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল, মেয়েকে আমাদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাবে ৷ আমরা ওর কিছু করতে পারব না ৷ আমার ধারণা, সেই ছেলেটিই কিছু করেছে ৷ ছেলেটির বাড়ি ইংরেজবাজারের অমৃতিতে ৷"