মালদা, 29 জানুয়ারি: পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনজনই বিশেষভাবে সক্ষম ৷ বয়স হয়েছে তিনজনেরই ৷ কিন্তু কাজের সংস্থান নেই ৷ এখন ভিক্ষাবৃত্তিই কার্যত বাঁচিয়ে রেখেছে তিন ভাইকে ৷ এক ভাই রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতা পান মাসিক এক হাজার টাকা ৷ বাকি দু’ভাই সেটাও পান না ৷ সরকারি কোনও সুবিধাও পান না বলে অভিযোগ ৷ সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্য একাধিকবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করেছেন ৷ আবেদন করেছেন পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনে ৷ 'দিদিকে বলো'তেও জানিয়েছেন সব ৷ কিন্তু এখনও কিছুই জোটেনি ৷ বিডিও অবশ্য জানাচ্ছেন, তিন ভাইয়ের জন্য কী করা যায় তিনি দেখছেন ৷
রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের বান্ধাকুড়ি গ্রাম ৷ সত্তরোর্ধ এসতাব আলির পাঁচ ছেলের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন, জিয়াউল হক ও আনিকুল হক জন্মান্ধ ৷ এসতাব এখনও বার্ধত্য ভাতা পান না ৷ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধাও জোটেনি ৷ তাঁদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে তাঁরা অনেকবার পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গিয়েছেন ৷ সুবিধে পাননি এখনও ৷ পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা প্রধানও আর তাঁদের কথা শুনতে চান না বলে অভিযোগ ৷
এক ভাই সাদ্দাম হোসেনের বক্তব্য, “আমরা তিন ভাই বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তার মধ্যে শুধুমাত্র আমিই মানবিক ভাতা পেয়েছি ৷ কিন্তু মাসে হাজার টাকায় সংসার চালাতে পারছি না ৷ দুই দাদা তো কিছুই পায়নি ৷ ওদের একজনের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে ৷ আমার ঘুমোনোর কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই ৷ সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, বাংলা আবাস যোজনায় আমাদের বাড়িটা অন্তত দেওয়া হোক ৷"