পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি সরকারি সুবিধা, আধার কার্ডও নেই বিশেষভাবে সক্ষম 3 ভাইয়ের - BLIND BROTHERS DEPRIVED

সরকারি কোনও সুবিধাও পান না বলেই অভিযোগ ৷ সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করেছেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ৷

BLIND BROTHERS DEPRIVED
প্রশাসনের দরজায় ঘুরেও মেলেনি সরকারি সুবিধা (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 29, 2025, 4:21 PM IST

মালদা, 29 জানুয়ারি: পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনজনই বিশেষভাবে সক্ষম ৷ বয়স হয়েছে তিনজনেরই ৷ কিন্তু কাজের সংস্থান নেই ৷ এখন ভিক্ষাবৃত্তিই কার্যত বাঁচিয়ে রেখেছে তিন ভাইকে ৷ এক ভাই রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতা পান মাসিক এক হাজার টাকা ৷ বাকি দু’ভাই সেটাও পান না ৷ সরকারি কোনও সুবিধাও পান না বলে অভিযোগ ৷ সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্য একাধিকবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন করেছেন ৷ আবেদন করেছেন পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসনে ৷ 'দিদিকে বলো'তেও জানিয়েছেন সব ৷ কিন্তু এখনও কিছুই জোটেনি ৷ বিডিও অবশ্য জানাচ্ছেন, তিন ভাইয়ের জন্য কী করা যায় তিনি দেখছেন ৷

রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের বান্ধাকুড়ি গ্রাম ৷ সত্তরোর্ধ এসতাব আলির পাঁচ ছেলের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন, জিয়াউল হক ও আনিকুল হক জন্মান্ধ ৷ এসতাব এখনও বার্ধত্য ভাতা পান না ৷ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধাও জোটেনি ৷ তাঁদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে তাঁরা অনেকবার পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গিয়েছেন ৷ সুবিধে পাননি এখনও ৷ পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা প্রধানও আর তাঁদের কথা শুনতে চান না বলে অভিযোগ ৷

প্রশাসনের দরজায় ঘুরেও মেলেনি সরকারি সুবিধা (ইটিভি ভারত)

এক ভাই সাদ্দাম হোসেনের বক্তব্য, “আমরা তিন ভাই বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তার মধ্যে শুধুমাত্র আমিই মানবিক ভাতা পেয়েছি ৷ কিন্তু মাসে হাজার টাকায় সংসার চালাতে পারছি না ৷ দুই দাদা তো কিছুই পায়নি ৷ ওদের একজনের প্রতিবন্ধী শংসাপত্র রয়েছে ৷ আমার ঘুমোনোর কোনও স্থায়ী ঠিকানা নেই ৷ সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, বাংলা আবাস যোজনায় আমাদের বাড়িটা অন্তত দেওয়া হোক ৷"

আরেক ভাই জিয়াউল হক বলছেন, “আমি 100 শতাংশ প্রতিবন্ধী ৷ কিন্তু মানবিক ভাতা পাচ্ছি না ৷ সরকারের কাছে আবেদন, আমি যেন সরকারি ভাতা পাই ৷ বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় আমার নাম ছিল ৷ কিন্তু সেটা আর খুঁজে পাইনি ৷ বিডিও অফিসে আবেদন করেছিলাম ৷ সেখান থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল, হ্যান্ডিক্যাপড লিস্টে আমার নাম নেই ৷ একথা বলে আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ৷”

বান্ধাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ মানিরুলের কথায়, “তিন ভাই অন্ধ ৷ বাবা অচল ৷ পরিবারটি কোনও সরকারি সহায়তা পাচ্ছে না ৷ শুধুমাত্র সাদ্দাম হোসেন মাসে হাজার টাকা পান ৷ আমরা গ্রামবাসীরাই কিছু না কিছু দিয়ে ওদের চালাচ্ছি ৷ ওদের বাবাও সরকারি কোনও ভাতা পান না ৷ পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, বিডিওকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু কাজ হয়নি ৷"

এনিয়ে রতুয়া ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পোকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “মানবিক ভাতার জন্য জেলা প্রশাসনকে আলাদা চিঠি পাঠাতে হয় ৷ সেটি আমরা পাঠিয়ে দেব ৷ ওই বৃদ্ধ বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করলে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে ৷ আর বাংলা আবাস প্রকল্পে নতুন করে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হলে এদের নামও নথিভুক্ত করে দেওয়া হবে ৷”

ABOUT THE AUTHOR

...view details