কলকাতা, 24 অক্টোবর: তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সমুদ্রে বিরাট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, দানা ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সময় জলোচ্ছ্বাস থাকতে পারে এক থেকে দু'মিটার । এর প্রভাবে শস্যক্ষেত্রের বিপুল ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । মাঠে থাকা ধানের ক্ষতি হতে পারে । পেপে, কলাগাছ ভেঙে পড়তে পারে । অস্থায়ী বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে । নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে ।
তিনি আরও জানান, দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে । ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই 24 পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, ও বাঁকুড়ায় । আর কিছু জায়গায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে ৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত (ইটিভি ভারত) হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে দানা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে । গত ছয় ঘণ্টায় 12 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে অগ্রসর হচ্ছে দানা । এই ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছে উত্তর পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে । প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি দক্ষিণ পূর্ব পারাদ্বীপের 210 কিলোমিটার, ওড়িশার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব ধামারা থেকে 240 কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের দক্ষিণে 310 কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে । এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, "ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকুলের মধ্যে ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চলে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আগামিকাল সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড় ৷ গতিবেগ 100 থেকে 110 কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে । দমকা হাওয়ার বেগ সর্বোচ্চ হবে 120 কিলোমিটার ।"
ঘূর্ণিঝড় যত এগিয়ে আসছে, ততই বঙ্গে বাড়ছে ঝোড়ো হাওয়া ৷ ইতিমধ্যে উত্তাল সমুদ্র । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ বন্ধ ফেরি পরিষেবা ৷ ট্রেন ও বিমান পরিষেবাও বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ তবে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকছে ৷