মালদা, 23 ফেব্রুয়ারি:ফের মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার মালদায় ৷ এবারে বৈষ্ণবনগরের একটি ভুট্টা খেত থেকে এক গৃহবধূর অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ৷ পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে খুন করা হয়েছে ৷ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷
শুক্রবার দুপুরে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় একটি ভুট্টা খেতে স্থানীয় বাসিন্দারা এক মহিলার অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওই মহিলার পরিবারের লোকজন ৷ ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কালিয়াচক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা ৷ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠায় পুলিশ ৷ পরিবার-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ ৷
ওই গৃহবধূর দাদা বলেন, "বাবা অসুস্থ ছিলেন ৷ তিন দিন আগে বোন বাবাকে দেখতে বাড়িতে এসেছিল ৷ আজ আমি বাবাকে মালদা শহরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ সেই সময় বোন আমাদের জমি দেখতে এসেছিল ৷ পরে খবর পেলাম বোনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ যেভাবে বোনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাতে অনুমান করা যাচ্ছে বোনের উপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছে ৷ পরে গলায় হাঁসুয়ার কোপ মেরে বোনকে খুন করা হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিল ৷ আমরা দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি করছি।"
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমিয়েছিলাম ৷ সেই সময় এক বন্ধু ফোন করে জানায়, আমাদের পাড়ার এক মহিলার দেহ ভুট্টা খেতে পড়ে রয়েছে ৷ এসে দেখি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে ৷ ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে গলায় কোপ মেরে খুন করা হয়েছে বলে শুনতে পেলাম ৷ আমরা দোষীর শাস্তির দাবি করছি।"
আরও পড়ুন:
- রোগী সেজে এসে চিকিৎসক দম্পতিকে খুন, চাঞ্চল্য ডেবরায়
- কোন্নগরে শিশু খুনে ধৃত মা ও তাঁর বান্ধবীর পুলিশি হেফাজত, দোষীর ফাঁসি চান বাবা
- মারাত্মক রাগ থেকেই কি শিশুকে খুন ? হুগলির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে