বুনিয়াদপুর, 23 অগস্ট: আর মাত্র 13 দিন ৷ তারপরেই গণপতি বাপ্পায় মেতে উঠবে মহারাষ্ট্র ৷ মেতে উঠবে পুরো দেশ ৷ আরব সাগরের তীরের এই উৎসবে এবার সামিল হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরও ৷ এখানকার শিল্পীদের তৈরি গণপতি এবার পূজিত হবে মহারাষ্ট্রে ৷ অবশ্য শুধু মহারাষ্ট্রই নয়, বুনিয়াদপুর কইল পালপাড়ার তৈরি ছাঁচের গণেশমূর্তি এবার পাড়ি দিচ্ছে বঙ্গোপসাগর তীরের ওড়িশাতেও ৷ এই প্রথম ৷
আগামী 7 সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে গণেশ পুজো ৷ ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’ রবে মেতে উঠবে পশ্চিমের গোয়া, মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে পূর্বের ওড়িশা, এমনকি দক্ষিণের রাজ্যগুলিও ৷ 10 দিন ধরে চলবে উৎসব ৷ বাপ্পা পূজিত হবেন ঘরে ঘরে ৷ সময়ের সঙ্গে এই বাংলার কিছু অংশেও এখন গণেশ পুজোর ধুম দেখা যাচ্ছে ৷ ঠিক এই সময় নাওয়া খাওয়া শিকেয় উঠেছে বুনিয়াদপুর পালপাড়ায় ৷ কারণ, এবার এখান থেকেই মহারাষ্ট্রে পাড়ি দেবে কয়েক হাজার ছাঁচে তৈরি গণেশ মূর্তি ৷ যাবে ওড়িশাতেও ৷ আর মাত্র একদিন বাদেই লরিবোঝাই হবে সেসব মূর্তি ৷ 25 অগস্ট রওনা দেবে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে ৷
এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ততা বুনিয়াদপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের কইল পালপাড়ায় ৷ এবারই প্রথম এই পাড়ার মূর্তি পাড়ি দিচ্ছে দেশের তিন প্রান্তে ৷ এখানকার রীতা শিল্পালয় চার হাজার মূর্তির বরাত পেয়েছে ৷ যাবে মহারাষ্ট্র ও ওড়িশায় ৷
শিল্পালয়ের কর্ণধার তাপস পাল জানালেন, "এবারই প্রথম ভিনরাজ্যে গণেশ বিক্রির সুযোগ পেয়েছি ৷ প্রথমে ছ’হাজার মূর্তির বরাত ছিল ৷ কিন্তু হাতে সময় কম থাকায় চার হাজার প্রতিমার বরাত ধরি ৷ মনে কিছু ভয়ও কাজ করছিল ৷ প্রথমবার বরাত পাওয়ায় সেই ভয় ৷ তাছাড়া টাকা-পয়সার ব্যাপারও আছে ৷ শ্রমিক, মাটি, রং ইত্যাদি উপকরণের বেজায় দাম ৷ মহাজনদের কাছে অগ্রিম পাওয়া যায় না ৷ আমরা সরকারি আর্থিক সাহায্যও পাই না ৷ যদি সেসব পাওয়া যেত, তবে আরও বেশি মূর্তি ভিনরাজ্যে পাঠাতে পারতাম ৷ তবে এই বরাত পাওয়ায় আমরা খুশি ৷ এতে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে ৷ আমাদেরও ভালো লাভ হবে বলে আশা করছি ৷"