কলকাতা, 9 জানুয়ারি: মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনে দলেরই নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতরা হলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা ৷ এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের মালদা জেলার পরিদর্শক ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ তাঁর কথায়, "তখনই একজন অপরাধী, যখন বিচারক তাকে অপরাধী বলবেন ।"
তাঁর এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে পুলিশ দুলাল খুন-কাণ্ডে যাদের গ্রেফতার করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের কি অপরাধী বলে মনে করছে না, যতক্ষণ না আদালত তাদের অপরাধী বলছে ?
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) মালদায় তৃণমূল নেতা খুন-কাণ্ডে বুধবার ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, "তদন্তে আমরা কেউ নাক গলাব না । তদন্ত তদন্তের মতো হোক । প্রকৃত দোষী সাজা পাক । আদালত ঠিক করুক কে দোষী । আমার ক্ষমতা নেই মন্ত্রী হয়ে কিছু বলব । অপরাধীরা সাজা পাক । খুন যদি কেউ করে থাকে, তাহলে অন্যায় করেছে । আদালতের সামনে প্রমাণ-সহ যাক পুলিশ । আদালত যাকে সাজা দেবে সেই অপরাধী ।"
এ দিন ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দাবি করেন, দুলাল সরকার খুনের পিছনে দলের বড় মাথা আছে । সেই বিষয়ে ফিরহাদের বক্তব্য, "বড় মাথা ছোট মাথা নিয়ে কিছু যায় আসে না । তথ্য প্রমাণ নিয়ে কোর্টের সামনে যাক । কারণ, বিচারের চোখে পট্টি থাকে । তখনই একজন অপরাধী, যখন বিচারক তাকে অপরাধী বলবেন । আমাদের সরকার নিরপেক্ষ সরকার ৷ তাই যারা অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
উল্লেখ্য, এদিকে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির গ্রেফতারিতে ভিন্ন সুর মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ৷ বুধবারই জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বলেছিলেন, "দলের যত বড় নেতাই হোক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না ৷ নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এই ঘটনায় জড়িত হলে তাঁরও শাস্তি হবে ৷" একই কথা শোনা গিয়েছিল ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর গলায়ও ৷ তাঁর কথায়, "দলে থেকে কেউ এমন ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁকে মাফ করা যায় না ৷ দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় নন্দু তিওয়ারি জড়িত ৷ অনেকদিন ধরেই দুলালকে সরানোর চেষ্টা করছিল ৷"