দার্জিলিং, 29 জানুয়ারি:নভেম্বরে সঙ্গী উর্মিলাকে একা রেখে চলে যায় লক্ষ্মী ৷ তারপর থেকে কার্যত অবসর জীবন কাটাচ্ছে উর্মিলা ৷ লক্ষ্মীর মৃত্যুর পর থেকে প্রায় দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে বেঙ্গল সাফারিতে বন্ধ রয়েছে হাতি সাফারি ৷ হতাশ পর্যটকরারা ৷
গত 16 নভেম্বর 68 বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয় কুনকি হাতি লক্ষ্মীর । ফলে সাফারিতে একা হয়ে গিয়েছে আরেক কুনকি হাতি উর্মিলা । অবশ্য, তারও অনেকটা বয়স হয়ে গিয়েছে ৷ তাই একা তাকে দিয়ে সাফারি করা যাচ্ছে না ৷ ফলে বন্ধ রয়েছে বেঙ্গল সাফারির বিখ্যাত হাতি সাফারি ৷ এককথায়, অবসর জীবন কাটাচ্ছে উর্মিলা ৷
তবে খোশ মেজাজেই রাখা হয়েছে উর্মিলাকে । সকাল বিকেল পালা করে তাকে খাওয়া দাওয়া করানো হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে, পর্যটকদের দেখার জন্য সাফারির ভিতরেই মুক্ত বনাঞ্চলে ছেড়ে রাখা হয়েছে তাকে । ফলে, বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসা পর্যটকরা হাতির পীঠে চেপে ঘুরতে না-পারলেও, তাকে দেখে কিছুটা মজা উপভোগ করতে পারছেন ।
পর্যটকদের পীঠে চাপিয়ে ভ্রমণ লক্ষ্মীর (ফাইল চিত্র)
অবশ্য, বেঙ্গল সাফারিতে পুনরায় হাতি সাফারি শুরু করতে কেন্দ্রীয় জু-অথরিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্য জু-অথরিটি ও বন দফতর । বন দফতর সূত্রে, বেঙ্গল সাফারি পার্কের তরফে হাতি সাফারির জন্য অন্তত চারটি হাতির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে । এই মুহূর্তে হাতির সংখ্যা কম থাকায় কোথা থেকে হাতি আনা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ যদিও উর্মিলার জন্য গরুমারা বা জলদাপাড়া থেকে এক জোড়া হাতি পাঠানোর প্রাথমিক চিন্তাভাবনা করছে বন দফতর ।
শীতের মরশুমে বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকের ব্যাপক ভিড় রয়েছে । গত 31 ডিসেম্বর ও 1 জানুয়ারির ছুটির দিনে রেকর্ড আয় করেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ । হাতি সাফারি ছাড়াই এই আয় করেছে কর্তৃপক্ষ । সেই কারণে দু'টোর পরিবর্তে 4টে হাতি আনতে চাইছে পার্ক কর্তৃপক্ষ । এই বিষয়ে বেঙ্গল সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ই বিজয় কুমার বলেন, "উর্মিলাকে দিয়ে আপাতত হাতি সাফারি বন্ধ রাখা হয়েছে । একার পক্ষে তার সাফারি করা সম্ভব না । তবে আমরা জু-অথরিটির সঙ্গে আলোচনা করে হাতি আনার ব্যবস্থা করছি । কবে এই সাফারি চালু করা হবে, সেই বিষয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব না ।"
