জলপাইগুড়ি, 12 জুলাই: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য । জানা গিয়েছে, এই এলাকায় হাতিদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও করিডোর নেই। ফলে ট্রেন নিজস্ব গতিতেই চলছিল। রেললাইনে হঠাৎ হাতি চলে আসায় এক্সপ্রেস ট্রেনকে ব্রেক কষে ধামাতে বেগ পেতে হয়েছিল লোকো পাইলটকে। আর তার জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা । শিয়ালদা থেকে আগরতলাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঘটনায় এমনই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব।
ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা (ইটিভি ভারত) এদিন চেতন কুমার শ্রীবাস্তব জানান, হাতির করিডোর চিহ্নিত করা আছে । সেই করিডোরে ট্রেনের স্পিড কত হবে তাও চালকদের বলা আছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় যেখানে হাতির মৃত্যু হয়েছে সেখানে কোন করিডোর ছিল না। করিডোর এলাকা ছাড়া ট্রেনের লাইনে হঠাৎ করে হাতি চলে এলে ব্রেক কষে একটি এক্সপ্রেস ট্রেনকে দাঁড় করানো কষ্টকর। অন্তত 40-50 মিটার দূরে গিয়েই গাড়ি দাঁড়াবে।
ফলে ওই সময়ে হাতি যদি রেললাইনে চলে আসে তাহলে ট্রেন থামাতে বেগ পেতে হয় লোকোপাইলটদের ৷ এরপরেই তিনি জানান বক্সা টাইগার রিজার্ভে NFR-এর হাতির করিডোরে আইটিএসি ডিভাইস লাগানো হবে । পুরো হাতির করিডোরেই এই ডিভাইস লাগানো হবে।
রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জেনারেল ম্যানেজার জানান, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা সেই সময় ট্রেনের পরিচালানার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে । তদন্ত যতক্ষণ না শেষ হচ্ছে ততক্ষণ সাসপেন্ড থাকবেন। এদিন জেনারেল ম্যানেজার বলেন, "যে কোনও ট্রেন দুর্ঘটনা খুবই দু:খজনক। কেউ চায় না দুর্ঘটনা হোক। অটোমেটিক বক্স সিস্টেম হলেই এই রকম দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। লোকো পাইলটদের জীবন যোগীদের মত। শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ সবল হতে হয়। সব দিক থেকে তাঁদের সজাগ থাকতে হয়। ভারতীয় রেলের একমাত্র লোকো পাইলটের চেক আপ-সহ সব ধরনের পরীক্ষা-প্রশিক্ষন করানো হয়। প্রশিক্ষণের সময় যা শেখানো হয় তাঁদের সেটাই ফলো করে চলতে হয় ৷"