কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ আর ভোটে এবার এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন ৷ ইতিমধ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সবদিক থেকে ত্রুটিহীন এবং অভিযোগ-মুক্ত করে তুলতে এমনই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোথাও কোনওরকম ফাঁক থেকে না যায় তাই কর্মীদের পাশাপাশি অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চায় কমিশন।
অন্যদিকে, কমিশন সূত্রে খবর, এআই ব্যাবহার করা হবে মূলত ওয়েব কাস্টিং-এর জন্য। যাতে নির্বাচনে কোথাও কোনওরকম কারচুপির সুযোগ না থাকে তাই এই ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে কমিশন। ইতিমধ্যেই দরপত্র করা হয়েছে। একাধিক এজেন্সির সঙ্গে কথাও চলছে কমিশনের ৷ একই সঙ্গে, কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ওয়েব কাস্টিং-এ এআই ব্যাবহারের ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়েছে, সেটি হল এখনও 100 শতাংশ বুথে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি ৷ তবে সেই দিকে কাজ চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
একমাত্র নির্বাচনের সময় হলে বোঝা যাবে যে, 100 শতাংশ বুথেই ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া গেল কি না, আর সে ক্ষেত্রে যেই বুথে ইন্টারনেট পরিষেবায় ঘাটতি থাকবে সেখানে হয়তো এআই ব্যাবহার করা সম্ভব হবে না ৷ যদিও এবার নির্বাচনের সময় সমস্ত বুথেই মনিটরিং এর পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ বিরোধীরা বারে বারে সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এবং এখনও জানাচ্ছে। তাই পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর যাতে কমিশনের সম্পূর্ণ নজরদারি কায়েম থাকে তাই সেই দিকেই এগনো হচ্ছে। আর এর সঙ্গে যদি এআই ব্যবস্থা যুক্ত করা যায় তাহলে আরো নিখুঁত হবে নজরদারি
নির্বাচনের সময় এবং তারপর যাতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে তৎক্ষনাৎ জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তার দিকে নজর দিচ্ছে কমিশন। এই বিষয় ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে 22টি এজেন্সির নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। রাজ্যের সবকটি জেলায় কোথায় কিরকম আইনশৃঙ্খলা তাও খতিয়ে দেখবে এই এজেন্সিগুলো। ইডি থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট অথারিটির মতো এজেন্সিরাও অতি সক্রিয়ভাবে এই বিশ্লেষনের কাজ করবে।