বসিরহাট, 18 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি গণধর্ষণ মামলায় ধৃত শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরাকে যেতেই হল পুলিশি হেফাজতে। রবিবার ধৃত তৃণমূল নেতাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক শিবুকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তার আগে জামিন চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করেন ধৃত তৃণমূল নেতার আইনজীবী। পালটা শুনানি চলাকালীন জামিনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী ৷
সরকারি আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, "শিবু একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ফলে, তিনি জামিন পেলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই তাঁর জামিন না-মঞ্জুর করা হোক।" বাদী-বিবাদী দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক শিবুর জামিন খারিজ করে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷
অন্যদিকে, যাঁর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু হাজরাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে সেই নির্যাতিতা মহিলার গণধর্ষণের অভিযোগের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ধৃত তৃণমূল নেতার আইনজীবী অরিন্দম গোলদার। তাঁর কথায়, "সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। পুলিশের কাছেও কোনও তথ্য প্রমাণ আছে বলে মনে হয় না। শুধুমাত্র মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ তাকে (শিবু) গ্রেফতার করেছে।"
যদিও শিবু-উত্তমদের গ্রেফতারে সন্দেশখালির মানুষ এখনও আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, সন্দেশখালিকে শান্ত করতে গেলে শিবু-উত্তমদের অত্যাচারের 'গুরু' তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। তবেই গ্রামবাসীরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। রবিবার দুপুরে আদালতে শিবু হাজরাকে তোলার সময় ধৃত তৃণমূল নেতার মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আদালত চত্বরে ঢোকার সময় পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয় ৷ ঠেলাঠেলির সম্মুখীনও হতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের ৷