কলকাতা, 5 এপ্রিল:রাজ্য সরকার এবং রাজভবনের সংঘাতের মাঝেই এ বার সরব হল পশ্চিমবঙ্গের দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরাম । শুক্রবার এডুকেশনিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলা হয়েছে । এই ফোরাম দাবি করেছে যে, পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষার পরিবেশ ধ্বংসের চেষ্টা করা হচ্ছে । এ দিন তাদের আক্রমণের মূল নিশানা যে রাজ্যপাল, তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে তারা । মূলত 9টি পয়েন্ট তুলে তারা এই উদ্ভূত পরিস্থিতির সমালোচনা করেছে ।
এ দিন এই সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজভবনের তরফ থেকে 2023 সালের শুরু থেকেই রাজ্যের 31টি বিশ্ববিদ্যালয় তথা উচ্চশিক্ষার পরিকাঠামোকে দুর্বল করার প্রয়াস চালাচ্ছেন আচার্য । তাদের এও অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে গিয়ে পরিকাঠামোকে ভেঙে ফেলা, রাজ্যের প্রবীণ শিক্ষাবিদদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা, হাইকোর্ট তথা সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাজ্যকে ভুলভাল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।
এ দিন এই সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগও তুলেছেন ফোরাম । এ দিন প্রেস রিলিজে তারা এও দাবি করেছে, আচার্যের পদ নামসর্বস্ব হলেও তিনি একদম ইচ্ছামতো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লংঘন করছেন ।
ইটিভি ভারত এই প্রেস রিলিজ নিয়ে আলাদা করে কথা বলেছে এই সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা শিক্ষাবিদ রঞ্জন চক্রবর্তীর সঙ্গে । তিনি স্পষ্ট ভাষায় আমাদের জানিয়েছেন, "শিক্ষাক্ষেত্রে যা ঘটছে তা কোনওভাবেই ছাত্রছাত্রীদের ভালোর জন্য হচ্ছে এমন নয় । রাজ্যপালের আচার্য পদ সাংবিধানিক ক্ষমতা । তবে তাঁকে কাজ করতে হবে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মেনেই । কিন্তু বাস্তব হল এটা যে, তিনি কোনও বিধি মানছেন না । তার বদলে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা চালানোর চেষ্টা করছেন । আমি দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম একাধিক রাজ্যপালের সঙ্গে কাজ করেছি । কিন্তু কখনও এ ধরনের ঘটনা দেখিনি । এই মুহূর্তে যাদবপুর এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে উপাচার্যহীন হয়ে পড়েছে সবটার জন্যই দায়ী রাজ্যপাল । আর সে কারণেই আমরা উদ্বিগ্ন । আর সেই উদ্বেগ থেকেই এ ধরনের পদক্ষেপ ৷"