কলকাতা, 3 অগস্ট: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সুরেই এবার কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। গতকাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট বৈঠকে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। উপাচার্যকে প্রায় 10 ঘণ্টা ঘেরাও করে রেখেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। শিক্ষামন্ত্রীও সেই উপাচার্যের ভূমিকা নিয়েই তুললেন প্রশ্ন ৷
উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশ অমান্য করে সিন্ডিকেট বৈঠক করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্ত, বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। পাশাপাশি তারা এও অভিযোগ তুলেছিলেন, শান্তা দত্ত ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। সুতরাং কোন অধিকারে এই সিন্ডিকেট বৈঠক তিনি করছেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছিল। তাতে অবশ্য কোনও মত পোষণ করেননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পর এবার সেই বিষয়েই মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। সম্পূর্ণ বিষয়টাতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "ছাত্ররা কী করেছে আমি বলতে পারব না ৷ তবে ওরা যে কথাগুলো বলছিল সেগুলো ঠিক। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানলে ওঁনার (উপাচার্য) এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকাই উচিত নয়। এখনও সরকারি নীলবাতি গাড়ি ব্যবহার করছেন ! বেআইনিভাবে উপাচার্যের নাম করে যারা বিশ্ববিদ্যালয় ঢুকে পড়ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
এর সঙ্গেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ নিয়েও কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, "মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেভাবে এরা সরকারি সব সুবিধা নিচ্ছে, আমি আশা করব সুপ্রিম কোর্ট এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।" যদিও এই বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উপাচার্যের অবসরের বয়স 70। রাজ্য সরকার বা ইউজিসির নিয়মও এক। আমি এই উপাচার্য পদে বসে আছি আচার্যের নির্দেশেই।"
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে আচার্য বনাম রাজ্য সরকার মামলা চলছে। উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে চলছে এই মামলা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এখনও পর্যন্ত দেওয়া শেষ নির্দেশে সুখবর এসেছে রাজ্য সরকারের তরফেই ৷ তারপর বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য, উচ্চশিক্ষা দফতরের পরামর্শে।