কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: প্রতিবেশী দেশে কাপড়ের ব্যবসায়ে বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছেন রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বিশ্বজিৎ দাস ৷ 14 ফেব্রুয়ারি সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ আপাতত 23 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের হেফাজতেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে ৷
তাঁকে জেরা করে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বিশ্বজিতের একটি বড় কাপড়ের দোকান আছে ৷ তদন্তকারীদের দাবি শুধু দুবাইতে নয়, বাংলাদেশে কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে ৷ রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন শংকর আঢ্য ৷ তাঁকে জেরা করেই বিশ্বজিতের নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা ৷
তাঁদের দাবি, বিশ্বজিৎ দাসই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের বিশাল টাকা পাচারের মাস্টার মাইন্ড ৷ তিনিই কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছে ৷ এই কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেছে নিয়েছিলেন ৷ যাঁদের আন্তর্জাতিক কারবার ও বিদেশেও একাধিক ব্যবসা আছে ৷ তাঁদের রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা পাচারের জন্যই বেছে নিয়েছিলেন 'বালু' ৷ ইডির আরও দাবি, তারা তদন্তে নেমে বিশ্বজিতের মতো আরও অন্তত চারজনের নাম পেয়েছেন ৷ আগামী সপ্তাহে তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ৷
13 ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি ৷ নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু চিরকুট পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ ইডি সূত্রে খবর, এই সব চিরকুট থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়েছে ৷ তবে শুক্রবার আদালতে বিশ্বজিৎ দাস দাবি করেছেন, তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন, একজন ব্যবসায়ী ৷ রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ তাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন:
- রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শংকর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করল ইডি
- গ্রেফতারির মুহূর্তে কেন বাংলাদেশ গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ, জানতে চায় ইডি
- 'আমায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে', দাবি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বিশ্বজিতের
