কলকাতা, 15 জুন:রাজ্যে ফিরল কুয়েতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়র দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের কফিনবন্দি দেহ ৷ বুধবার কুয়েতের অ্যাপার্টমেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ৷ শনিবার বিশেষ বিমানে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় কলকাতা বিমানবন্দরে ৷ এদিন বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের তরফে দ্বারিকেশ পট্টনায়েককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু । পাশাপাশি বিজেপির তরফে এদিন বিমানবন্দরে ছিলেন নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল-সহ অন্যান্যরা। এদিন সকাল সাতটা নাগাদ দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কফিনবন্দি দেহ । তারপর কলকাতা বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সুজিত বসু-অগ্নিমিত্রা পলরা।
কলকাতায় ফিরল কুয়েত অগ্নিকাণ্ডে মৃত বাংলার ইঞ্জিনিয়রের দেহ - Kuwait Fire Tragedy
Kuwait Fire Incident: শনিবার সকালে বিশেষ বিমানে করে শহরে এসে পৌঁছল কুয়েতে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার দ্বারিকেশ পট্টনায়েকর কফিনবন্দি দেহ । দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, অগ্নিমিত্রা পল-সহ মৃতের পরিবারের লোকেরা উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরে ৷ দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেত্রী ৷
Published : Jun 15, 2024, 11:47 AM IST
রাজ্য সরকারের তরফ সমস্তরকমভাবে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুজিত বসু । তিনি বলেন, "ওনার পরিবারের প্রতি সরকার সমব্যথী । আমাদের তরফে যা যা করণীয় করব ৷ পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব ৷ বিমানবন্দরে সরকারের তরফে আমি রয়েছি ৷ এখানে থেকে বিডিও দেহ নিয়ে যাবেন মেদিনীপুরে ৷" তবে বিজেপির তরফে অগ্নিমিত্রা পল এদিন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন তোলেন, কেন বাইরে কাজ করতে যেতে হবে বাঙালিদের ? সেখানে গিয়ে কেন দুর্ঘটনা কবলে পড়তে হবে ? তাঁর কথায়, "এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী । রাজ্য সরকারের উচিত মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা । দ্বারিকেশ বাবুর একটি মেয়ে আছে সে এবার বোর্ড পরীক্ষা দেবে, তার পাশে দাঁড়ানোও রাজ্য সরকারের কর্তব্য ।"
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে দ্বারিকেশ পট্টনায়েকের পরিবার থেকে তাঁদের নিকট আত্মীয়রাও উপস্থিত ছিলেন । কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁর দেহ প্রথমে মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারপর সেখান থেকে দাঁতনে তাঁর পৈতৃক ভিটেয় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ৷ এমনটাই তাঁর পরিবারের তরফে শ্যালক সায়ন্তন পট্টনায়েক জানিয়েছেন । তিনি বলেন, "27 বছর ধরে জামাইবাবু কুয়েতের ওই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন ৷ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সেখানে কাজ করতেন তিনি ৷ রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছি ৷ সরকার আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ৷"