বারাসত, 13 অগস্ট: ঘটনার সাতদিন পরও অধরা দত্তপুকুর নার্সিং কলেজে শ্লীলতাহানিকাণ্ডে অভিযুক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর ৷ এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনও নিশ্চুপ বলে অভিযোগ ৷ ফলে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন ওই বেসরকারি নার্সিং কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ ৷ অভিযুক্তের গ্রেফতারি চেয়ে এবার পথে নামলেন তাঁরা ৷ চলল অবরোধ ও বিক্ষোভ ৷ যা ঘিরে সোমবার রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে দত্তপুকুরের রঙ্গপুর এলাকা ৷ পরে, পুলিশ গিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে পথ অবরোধ তুলে নেন পড়ুয়ারা ৷ যদিও প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার এ নিয়ে কলেজে বৈঠক ডাকা হলেও তা ভেস্তে যাওয়ায় কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই খবর ৷
জানা গিয়েছে, ওই বেসরকারি নার্সিং কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাতে কলেজ হস্টেলে ঢুকে পড়ুয়াদের সঙ্গে অভ্যবতা ও শ্লীলতাহানি করেন মদ্যপ অবস্থায় ৷ এ নিয়ে প্রতিবাদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতা পড়ুয়াদের ৷ যার ফলস্বরূপ শুক্রবার কলেজ ক্যাম্পাসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা ৷ এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের একাংশের চলে তীব্র বাদানুবাদও। সেই সময় কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ এসে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
উলটে, পুলিশ নিশ্চুপ থাকায় বহাল তবিয়তে এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই নার্সিং কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশের মধ্যে। সোমবার বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অচল করে বিক্ষোভ দেখান নার্সিং কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁদের এই আন্দোলনে সামিল হন অভিভাবকরাও। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক অবরোধ-বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
আন্দোলনরত পড়ুয়াদের অভিযোগ, রাতে মদ্যপ অবস্থায় কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হস্টেলে ঢুকে আবাসিক ছাত্রীদের সঙ্গে অভ্যবতা করেন।নোংরা ভাষায় কথাও বলেন পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে। নানাভাবে স্পর্শ করেন তাঁদের। বহুবার এ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। পালটা, কর্তৃপক্ষ তাঁর অন্যায়কে প্রশয় দিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার সুবিচার পেতেই এদিন পড়ুয়া-অভিভাবকরা বাধ্য হন পথে নামতে। এদিকে, পড়ুয়াদের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি ওই নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান ৷
উলটে তিনি পড়ুয়াদের ছাত্রী সুলভ আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷ তাঁর কথায়, "ঘটনাটি যেভাবে পরিবেশন করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। ছাত্রীরা নিজেদের দোষ ঢাকতে কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। পুলিশ চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পারে ৷ তা হলেই সব সত্য সামনে চলে আসবে ৷"