সন্দেশখালি, 31 অক্টোবর: আরজি করের আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ এই আন্দোলনের সঙ্গে সন্দেশখালির আন্দোলনের তুলনাও টানলেন ৷
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, "কলকাতার শহুরেবাবুরা সন্দেশখালির আন্দোলনকে বিশ্বাসই করতে পারেননি ৷ সেই সময় তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কথাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন ৷ প্রতিবাদীদের গায়ে বহিরাগত তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে ৷ তৃণমূল নেতারা বলেছেন সন্দেশখালিতে কিছুই হয়নি ৷ সেটাই মেনে নিয়েছেন কলকাতার ভদ্রলোকরা ৷ এখন তাঁদের গায়ে যে-ই আঁচ লেগেছে, তখন রাত জাগতে শুরু করেছেন শহুরে বাবুরা ৷"
সন্দেশখালিতে দিলীপ ঘোষ (ইটিভি ভারত) দিলীপ আরও বলেন, "গ্রামের আদিবাসী, তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলাদের মান-সম্মানের কোনও গুরুত্ব নেই কলকাতার শহুরেবাবুদের কাছে ৷ তাই দিনের পর দিন লাঠি হাতে যখন আপনারা রাত পাহারা দিয়েছেন, তখন এঁদের কাউকেই পাশে পাননি ৷" তিনি আরও বলেন, "তারপরও সন্দেশখালিতে মাসের পর মাস লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন আপনারা ৷ নির্বাচন থাকায় সেই সময় হয়তো আপনারা সুবিচার পাননি । তবে, লড়াই চালিয়ে গেলে একদিন ঠিক বিচার পাবেনই ৷ এই বিশ্বাস রয়েছে আমার ৷"
সন্দেশখালিতে কালী পুজোর কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন দিলীপ ৷ এদিন বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে ৷ সন্দেশখালির নারী আন্দোলনের বেশ কয়েকজন প্রতিবাদীও ছিলেন কর্মসূচিতে ৷ অন্য একটি প্রসঙ্গে বিজেপির এই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, "সন্দেশখালিতে আন্দোলনকে দমানোর জন্য বারবারই সচেষ্ট হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ৷ যাঁরা সেই সময় আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও মামলা দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকী বাড়ির সাধারণ গৃহবধূও ছাড় পাননি ৷ প্রতিবাদীদের আটকাতে ভয়ঙ্কর সব মামলা দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ-প্রশাসন ৷ এতেই বোঝা যায়, এঁরা কতটা ভীত ! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা । তাও তিনি মহিলাদের আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন ! তিনি ভালো করে জানেন, মহিলারা জেগে উঠলে সব ওলোটপালোট হয়ে যেতে পারে !" সন্দেশখালির প্রতিবাদীদের উদ্দেশে এদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ৷
এদিকে, রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতন ইস্যুতে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ ৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, "অত্যাচারী শাসকের পতন একদিন হবেই ৷ যুগ যুগ ধরে তা হয়ে এসেছে। এঁরাও খড়কুটোর মতো চলে যাবে ৷ যেমন এসেছে হাওয়াতে, তেমনই হাওয়ার মতো উবে যাবে ৷"