আসানসোল, 22 জুলাই: লাল টুপি পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় বসেছিলেন । কাজকর্ম নেই, বেকার তাই কলকাতায় বেড়াতে এসেছেন । একুশের সভায় যোগ দেওয়ায় সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে নাম না করে এমন ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ।
একুশের সভা নিয়ে নাম না করে অখিলেশকে কটাক্ষ দিলীপের (ইটিভি ভারত) রবিবার বিকেলে আসানসোলে ওবিসি মোর্চার 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ সেখানে তিনি তাঁর বক্তব্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী-সহ ইন্ডি জোটের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেন । রবিবার একুশের সভায় যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন অখিলেশ যাদব ৷ দরাজ গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে গিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি বিজেপিরও কড়া সমালোচনা করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা । এরই পরিপ্রেক্ষিতে পালটা দিলীপ ঘোষ বলেন, "আজকে লখনউ থেকে একজন নেতা এসেছিল লাল টুপি পরে । দু'বার হেরেছেন উত্তরপ্রদেশ থেকে ৷ তিনি নাকি বিজেপিকে হারাবেন । 29টা সিট নিয়ে বিজেপিকে হারাবেন মমতা ?"
একইসঙ্গে জোট নেতৃত্বের সমালোচনা করে তাঁদের 'ভিখারি' বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ । তাঁর কথায়, "সকাল থেকে বিকাল ভিখারির মতন ঘুরে বেড়াচ্ছে এর-ওর দরজায় ৷ একে বলছে চলো ভাই দলে যোগ দাও । ওকে বলছে চলো একসঙ্গে চলি । বলছে, দেশ বাঁচাতে হবে । আসলে দেশ না-নেতা বাঁচাতে হবে, পার্টি বাঁচাতে হবে । তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছে । এই পরম্পরা হরকিষণ সিং সুরজিতের। এখন কেউ সিপিএমকে পোছে না । তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।"
দিলীপ ঘোষ বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে আরও বলেন, "2019 সালেও এরা ব্রিগেডের সভা করেছিল এবং সব নেতারা হাত তুলে বলেছিল বিজেপি হাটাও দেশ বাঁচাও । যখন ফল বের হল তখন 282 থেকে 303 । সারা ভারতবর্ষে খুঁজে পাওয়া গেল না কাউকে । এরপর আবার ডেকেছেন । মাঝে কয়েকবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি । কারণ যার হাত ধরবেন মমতা সেই ডুবে যাবে ।"
এরপরে অখিলেশ যাদবের নাম না করে তাঁর কঠোর সমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, "এবার অনেক পীড়াপীড়ি করে একজনকে নিয়ে আসতে পেরেছে । সে কে? না তাঁর কোন কাজ নেই সে বেকার । তাই কলকাতা ঘুরতে এসেছে । যার কোন কাজ নেই সেরকম নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে ।" দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, " একুশের সভায় কেন শিবসেনা আসেনি? কেন স্ট্যালিন আসেনি? কেন বিএসপি আসেনি? এমনকী সিপিএমের বড় নেতা কারাত কিংবা ইয়েচুরি কেউ আসেনি, কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ বিশ্বাস করে না । কখন কোন দিকে পালটি খাবেন তার ঠিক নেই ।"