কলকাতা, 29 নভেম্বর: বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও এখনও বর্ধিত বেতন পাচ্ছে না ভূতল পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। তাই কোনও সুরাহা না হলে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথেই হাঁটবে কর্মীরা। এমনটাই জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগম ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের জলসাথী কর্মীরা।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে বিভিন্ন সরকারি দফতরের সঙ্গে যুক্ত অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু, প্রায় এক বছর হতে চলল, সেই বর্ধিত বেতন দেওয়া শুরু হয়নি জলসাথী কর্মীদের। প্রসঙ্গত, ভূতল পরিবহণের ভেসেল ও ফেরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মাস্টার ড্রাইভার ও লস্করেরা মূলত অস্থায়ী এজেন্সি ভিত্তিক কর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অস্থায়ী জলসাথী কর্মী জানিয়েছেন যে, তিনি 2018 সালে জলসাথী কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়ার সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল 10 হাজার টাকা। এরপর 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যে সরকারের সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের 2000 টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হয়। তবে ওই শেষবার ৷ তারপর আর বেতন বৃদ্ধি হয়নি।
নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেও বর্ধিত বেতন পাওয়া শুরু হয়নি জল সাথী কর্মীদের। তাই শুক্রবার এই মর্মে টালিগঞ্জ অফিসে সংগঠনের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হচ্ছে।
আর এক অস্থায়ী কর্মী বলেন, "বর্তমানে 12 হাজার টাকা বেতন পাই। এর মধ্যে কেটে কুটে হাতে মেলে দশ হাজার তিনশো টাকা। বহুবার দফতরে চিঠি দেওয়া এবং আলোচনা করা সত্ত্বেও বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে দশ হাজার টাকায় কী করে সংসার চালাবে মানুষ? আমাদের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তাই ডেপুটেশন দেওয়া হবে। আর তারপরেও যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।"
পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগমের (ডব্লিউবিএসটিসি) এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই বিষয় পদক্ষেপ করতে চলেছে দফতর। এই বিষয় অনেকটাই কথা এগিয়ে গিয়েছে একটি প্রস্তাবও তৈরি হয়ে গিয়েছে। দ্রুত সেটি রাজ্যে সরকারের অর্থ দফতরে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। আগামী আর্থিক বছরেই এই বিষয় একটা সুরাহা হতে পারে মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, তবে প্রতি বছরই কর্মীদের ভাতা কিছুটা করে বাড়ানো হয়ে থাকে।