মালদা, 11 নভেম্বর: পেরলো দু'হাজারের গণ্ডিও ৷ বর্ষা শেষে মালদা জেলায় ক্রমে বাড়ছে ডেঙ্গি ৷ প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গা থেকে এই রোগের প্রাদুর্ভাবের কথা জানা যাচ্ছে ৷
গত সপ্তাহেই মালদা জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন 175 জন ৷ সবমিলিয়ে এ'বছর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 2 হাজার 48 জন ৷ এডিস ইজিপ্টি মশার তাণ্ডবে প্রশাসনের চিন্তা বেড়েছে রতুয়ার দুটি ব্লকে ৷ সম্প্রতি ওই দুই ব্লকেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ ওই দুই ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ৷
ডেঙ্গির লাভা জলে (নিজস্ব ছবি) জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব বলছে, গত সপ্তাহে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকে 18 জন এবং রতুয়া 2 নম্বর ব্লকে 43 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ এছাড়াও ইংরেজবাজার ব্লকে 28 জন, কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকে 18 জন ও কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে 13 জন ও মানিকচক ব্লকে 17 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছর রতুয়া 1 নম্বর ব্লকে 305 জন, রতুয়া 2 নম্বর ব্লকে 386 জন, ইংরেজবাজার ব্লকে 259 জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে ৷ ইংরেজবাজার পৌর এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন 75 জন ৷
বর্ষা শেষে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মালদায় (নিজস্ব ছবি) পরিস্থিতি বুঝে জেলার স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যে রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের রতুয়া, কাহালা ও বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েত, রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পুখুরিয়া, সম্বলপুর, আড়াইডাঙা ও পরাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম ও মিলকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে ৷ নজরদারি চালানো হচ্ছে মানিকচক ব্লকের মানিকচক ও জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং কালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ৷
এনিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, "চলতি বছর এখনও পর্যন্ত জেলায় 2 হাজার 48 জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৷ এর মধ্যে রতুয়ার দুটি ব্লক ও ইংরেজবাজারেই বেশি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ৷ তবে এক মাস আগেও রতুয়ার দুটি ব্লকে যেভাবে ডেঙ্গির আক্রমণ ঘটছিল, তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে ৷"
তাঁর কথায়, "পরিস্থিতির উপর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে ৷ আমাদের দফতরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই রোগ নিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন ৷ তাঁরা পঞ্চায়েতগুলির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ৷ তবে বর্তমানে মানুষের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা করানোর প্রবণতা অনেকটা বেড়েছে ৷ সেই কারণে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে ৷"