বারাসত, 4 ফেব্রুয়ারি: পাচারের আগেই হরিণের মাথার খুলি-সহ শিং বাজেয়াপ্ত করল বন দফতর। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক পশু চিকিৎসককেও। ধৃতের নাম মনোরঞ্জন সরকার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার ভোররাতে উত্তর 24 পরগনার স্বরূপনগর বাজার থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় ওই চিকিৎসককে।
বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতের কাছে মিলেছে তিনটি মৃত হরিণের মাথার খুলি সমেত শিং। ধৃত পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি বাইকও। কোথা থেকে তাঁর কাছে মৃত হরিণের মাথার খুলি-সহ শিং এসেছে তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। ঘটনার পিছনে কোনও চক্র যুক্ত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, 2022 সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অমান্যের অভিযোগে ধৃত পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতকে রবিবার দুপুরে বারাসত কোর্টের বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে আটদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ৷ আদালতের আইনজীবী স্নেহাংশু দাস বলেন, "কোথা থেকে তিনি হরিণের শিংগুলি পেয়েছেন সেটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্তের স্বার্থে এবিষয়ে পুলিশ কিছুই জানায়নি। না-জেনে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চল্লিশের মনোরঞ্জনের বাড়ি স্বরূপনগরের চারঘাট এলাকায়। তাঁর বাড়ি থেকে তারালি সীমান্তের দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই, সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে হাতবদল হয়ে কোনওভাবে তাঁর কাছে মৃত হরিণের মাথার খুলি সমেত শিং এসেছে কি না, তা ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া তিনটি হরিণের মাথার খুলির বাজারমূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। সম্ভবত সেগুলি তিনি কারও হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এদিন মছলন্দপুর স্টেশন রোড লাগোয়া স্বরূপনগর বাজারে এসেছিলেন বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।