পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

Updated : 3 hours ago

ETV Bharat / state

আরামবাগে নাবালিকার ধর্ষণ-খুনে ফাঁসির সাজা, যাবজ্জীবন আরেক দোষীর - DEATH SENTENCE IN RAPE AND MURDER

Death Sentence in Rape and Murder Case: 2018 সালে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আরামবাগ মহকুমা আদালত ৷ যে মামলায় আরেক দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক ৷

Death Sentenced in Rape and Murder Case
প্রতীকী ছবি ৷ (ইটিভি ভারত)

আরামবাগ, 1 অক্টোবর: নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আরামবাগ মহকুমা আদালত ৷ 2018 সালের ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনে মূল অভিযুক্ত তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিত মামলা চলাকালীন মারা গিয়েছেন ৷ মুরারি পণ্ডিতের স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিতকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ পাশাপাশি, ধর্ষণ ও খুনে যুক্ত থাকায় নির্যাতিতা নাবালিকার দিদাকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৷ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আরামবাগ মহকুমা আদালত ৷

2018 সালের 2 ফেব্রুয়ারি খানাকুলের ঘটনায় 363, 366 ও 201 ধারায় পকসো আইনে সাগরিকা পণ্ডিতকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত ৷ সেই সঙ্গে মৃত নাবালিকার দিদাকে পুরো ঘটনায় জড়িত থাকায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক কিশান কুমার আগরওয়াল ৷ পাশাপাশি, মৃত মুরারি পণ্ডিত, তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিত এবং নির্যাতিতার দিদা 5 হাজার টাকা করে মোট 15 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, মামলা চলাকালীন 10 মাস আগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান মূল অভিযুক্ত মুরারি ৷ তাঁর স্ত্রী সাগরিকা এবং মৃত নির্যাতিতা নাবালিকার দিদা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন ৷

উল্লেখ্য, নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা খানাকুল থানায় 2018 সালের 2 ফেব্রুয়ারি মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন বুদ্ধদেব সরকার ৷ প্রথমদিকে তদন্তে কোনও সূত্র পাচ্ছিলেন না তিনি ৷ ঘটনার কয়েকদিন পরেই নাবালিকার প্রতিবেশী ঘন্টু সিংয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকার দিদা এবং তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিত ও তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে ৷

অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নির্যাতিতার দিদা কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন ৷ কোনওভাবে তিনি জানতে পারেন, নরবলি দিলে সিদ্ধিলাভ হয় ৷ আর তারপরেই তন্ত্রসাধনায় যুক্ত মুরারি পণ্ডিত এবং তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ এরপরেই নাতনিকে মুরারি এবং সাগরিকার হাতে তুলে দেন ওই মহিলা ৷ গোয়াল ঘরে তন্ত্রসাধনার পর মুরারি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ৷ তারপর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘন্টু সিংয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যংকে ফেলে দেয় তারা ৷ পুরো ঘটনায় সাগরিকা পণ্ডিত ও নির্যাতিতার দিদা সহযোগিতা করেছিল ৷

তিন অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রেখে এই মামলার তদন্ত ও শুনানি চলে ৷ তবে, বিচারাধীন থাকার সময় মূল অভিযুক্ত মুরারি পণ্ডিতের মৃত্যু হয় মাস দশেক আগে ৷ এই মামলায় খানাকুল থানার আধিকারিক বুদ্ধদেব সরকার এবং 16 জন সাক্ষীর বয়ান ও অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে আজ আদালত অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ৷ সাগরিকা পণ্ডিতের ফাঁসির সাজাকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী বিকাশ রায় ৷

অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি পকসো আদালত আজ নাবালিকা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে 15 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ৷ 2019 সালের 19 জুলাই জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় নির্যাতিতা নাবালিকার মা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছিল, ঘটনাটি অভিযোগ দায়ের হওয়ার 10-12 দিন আগে ঘটেছিল ৷ এই ঘটনায় দোষীকে 15 বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি, 50 হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে 3 মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন পকসো আদালতের বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠী ৷ সেই সঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে 3 লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷

Last Updated : 3 hours ago

ABOUT THE AUTHOR

...view details