আরামবাগ, 1 অক্টোবর: নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনাল আরামবাগ মহকুমা আদালত ৷ 2018 সালের ঘটনায় ধর্ষণ ও খুনে মূল অভিযুক্ত তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিত মামলা চলাকালীন মারা গিয়েছেন ৷ মুরারি পণ্ডিতের স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিতকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷ পাশাপাশি, ধর্ষণ ও খুনে যুক্ত থাকায় নির্যাতিতা নাবালিকার দিদাকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৷ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আরামবাগ মহকুমা আদালত ৷
2018 সালের 2 ফেব্রুয়ারি খানাকুলের ঘটনায় 363, 366 ও 201 ধারায় পকসো আইনে সাগরিকা পণ্ডিতকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত ৷ সেই সঙ্গে মৃত নাবালিকার দিদাকে পুরো ঘটনায় জড়িত থাকায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক কিশান কুমার আগরওয়াল ৷ পাশাপাশি, মৃত মুরারি পণ্ডিত, তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিত এবং নির্যাতিতার দিদা 5 হাজার টাকা করে মোট 15 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, মামলা চলাকালীন 10 মাস আগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান মূল অভিযুক্ত মুরারি ৷ তাঁর স্ত্রী সাগরিকা এবং মৃত নির্যাতিতা নাবালিকার দিদা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন ৷
উল্লেখ্য, নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা খানাকুল থানায় 2018 সালের 2 ফেব্রুয়ারি মেয়ের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ সেই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ছিলেন বুদ্ধদেব সরকার ৷ প্রথমদিকে তদন্তে কোনও সূত্র পাচ্ছিলেন না তিনি ৷ ঘটনার কয়েকদিন পরেই নাবালিকার প্রতিবেশী ঘন্টু সিংয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকার দিদা এবং তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিত ও তাঁর স্ত্রী সাগরিকা পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে ৷