দার্জিলিং, 27 নভেম্বর: ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে 252টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল দার্জিলিং জেলা পুলিশ। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ তদন্তের জন্য 200টি নোটিশও ইস্যু করেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে গিয়েছে জেলার শিক্ষামহলে। এছাড়াও তদন্তে নেমে আরও 43টি সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশও পেয়েছে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর।
সেইসব অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢুকেছে বলেও দাবি পুলিশের। ব্যাংক মারফত তারা সেই অ্যাকাউন্টগুলোকেও ফ্রিজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট ওই অ্যাকাউন্টগুলি বিহার, চোপড়া, মালদায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাহাড় ও সমতলের ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে বিহার, চোপড়া ও মালদার সাইবার অপরাধীরা জড়িত বলেও প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
সম্প্রতি শিলিগুড়িতে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানা, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা, মেদিনীপুরের কেশিয়ারি থানা যৌথভাবে শিলিগুড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন বিহারের, একজন চোপড়া, একজন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা শিলিগুড়ি ও শিলিগুড়ি মহকুমার বাসিন্দা।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং বলেন, "রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো ট্যাব কেলেঙ্কারির তদন্তে সব গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিয়ম মেনেই তদন্ত চলছে। নিরীহ কোনও মানুষ যাতে এই ঘটনায় ফেঁসে না-যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে।" দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, "ট্যাব কাণ্ডে সন্দেহজনক ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে। তদন্তের জন্য বেশ কয়েকজনের কাছে নোটিশও পাঠানো হয়েছে। সিআইডি-র সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হয়েছে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, পাহাড়ের জিটিএ এলাকায় দু’টি অভিযোগ হয়েছে। একটি দার্জিলিং সদর এবং একটি কার্শিয়াংয়ে। সংশ্লিষ্ট দু’টি জায়গায় 240 জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে বলে অভিযোগ। এর বাইরে সমতলের ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ হয়েছে একটি। সেখানে প্রতারিত হয়েছে 12 জন ছাত্র। সেই মতো দার্জিলিং জেলা পুলিশ 252 জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। সেগুলি বিহারের ঠাকুরগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ও ইসলামপুরের বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে। ইতিমধ্যে নোটিশ পাঠিয়ে তলব করা হয়েছে 200 জনকে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই 27টি অ্যাকাউন্টের 2 লক্ষ 18 হাজার টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। সন্দেহজনক বাকি অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।