কলকাতা, 26 মে: অতীতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার নানা ঘটনার সাক্ষী নাগরিকরা। ঘটনার পরেই দায় ঠেলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় সিইএসসি নাকি কলকাতা কর্পোরেশনের দায় ? এবার সেই উত্তর স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রেমাল নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র জানান, ঝড়-জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটলে দায় এড়াতে পারবেন না আলোক বিভাগের ডিজি। কেন এমন বললেন মেয়র?
জল-বর্ষায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে দায় কার? জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব প্রতিনিধি) এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনা এবার হওয়ার কথা নয়। কারণ, সিইএসসি আর আমাদের আলোক দফতর যৌথভাবে কলকাতার প্রতিটি রাস্তার তথ্য জমা করেছে। সেখানে ডিজি জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় খোলা তার নেই যা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। আমি আশা করছি, তাঁর বিভাগের কর্মীরা তাঁকে সঠিক রিপোর্ট দিয়েছেন যা উনি আমাকে জানিয়েছেন। সিইএসসি তাদের প্রতি ওয়ার্ডে টিম রেখেছে। কোথাও কিছু হলে জরুরি ভিত্তিতে যেতে পারবেন। তাঁদের থাকা-খাওয়ার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে ।"
আরও পড়ুন:ধেয়ে আসছে রেমাল, সুন্দরবনের পাশে বটবৃক্ষের মতো দাঁড়ালেন সেই কান্তি
এবারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পূর্বাভাস পেতেই ও বর্ষায় আগাম সতকর্তা হিসাবে শহরজুড়ে সমীক্ষা করেছে কলকাতা পৌরনিগমের আলোক বিভাগ। কোন পোস্টের কী অবস্থা, কোনও জায়গায় শর্টসার্কিট হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, কোনও লাইট পোস্টে তার খোলা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছে আলোক বিভাগ ৷ তারপর বিস্তারিত সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে আলোক দফতরের ডিজি সঞ্জয় ভৌমিকের কাছে। তিনি সেই রিপোর্ট উচ্চ পর্যায়ে বৈঠকে দেখান ৷ এই রিপোর্ট জমা পড়েছে মেয়র, কমিশনারের কাছেও । এই কারণেই এদিনের বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷
উল্লেখ্য, অতীতে জলমগ্ন এলাকায় রাজ ভবনের গেটে হোক বা খিদিরপুরে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে ৷ তারপরেই শুরু হয়েছে দায় ঠেলার পালা। কলকাতা কর্পোরেশন দাবি করেছে, সিইএসসি দায়ি। সিইএসসি দাবি করেছে, ঘটনার দায় কলকাতা পৌরনিগমের। এই ধরনের অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ !
আরও পড়ুন:অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে 'রেমাল', ক্যানিং থেকে ব্যবধান 150 কিমি