আসানসোল, 30 অক্টোবর: সাইবার অপরাধের শিকার আসানসোল পুরনিগম ৷ 40 লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ৷ পুরনিগমের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে এই বিপুল অঙ্কের টাকা ট্রান্সফার হয়েছে আরেকটি অ্যাকাউন্টে ৷ সেটি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বলে জানা গিয়েছে ৷ তড়িঘড়ি বিষয়টি জেনে ফেলায় 12 লক্ষ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে ৷ বাকি 28 লক্ষ টাকার কোনও খোঁজ নেই ।
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কের তরফে আসানসোল পুরনিগমের কাছে একটি ফোন যায় ৷ তাতে জানানো হয়, পুরনিগম কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত ফোনের নম্বরটি বদলাতে চেয়ে একটি আবেদন করেছেন ৷ এদিকে এরকম কোনও আবেদন করা হয়নি ৷ সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে পৌঁছন পুরনিগমের লোকজন ৷ তখনই পুরনিগমের অ্যাকাউন্টের টাকা দেখে চক্ষু চড়কগাছ ! দেখা যায় আসানসোল পুরনিগমের অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে 40 লক্ষ টাকা ! ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে 12 লক্ষ টাকা ফ্রিজ করে দেয় ৷ সেই টাকা তুলতে পারেনি অপরাধীরা ৷ বাকি 28 টাকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷
সাইবার অপরাধের ফাঁদে টাকা খোয়ালো পুরনিগম (ইটিভি ভারত) এই ঘটনায় আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, "গত 28 অক্টোবর পুরনিগমের অ্যাকাউন্টে 40 লক্ষ টাকার সাইবার প্রতারণা হয়েছে ৷ ব্যাঙ্কে মোবাইল নম্বর পাল্টানোর জন্য একটি আবেদনপত্র জমা পড়ে ৷ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ অথচ এরকম কোনও আবেদন পুরনিগমের পক্ষ থেকে করা হয়নি ৷ তখনই আমাদের আধিকারিকদের টনক নড়ে ৷ আমরা বিষয়টি জানতে পারি ৷ ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় 40 লক্ষ টাকার প্রতারণা করা হয়েছে ৷ যদিও ব্যাঙ্কের তরফে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং 12 লক্ষ টাকা ফ্রিজ করে দেয় ৷"
মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের আক্ষেপ, "আমার অ্যাকাউন্ট থেকে 2 লক্ষ কি 5 লক্ষ, যে টাকাই তোলা হোক না কেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রাহককে জানানো উচিত ৷ আমি যদি নিজে টাকাটা তুলি, তাহলে বলে দেব হ্যাঁ, আমি তুলেছি ৷ অন্য কেউ টাকাটা তুললে বলতে পারব, টাকাটা আমি তুলিনি ৷ ফ্রিজ করুন ৷" পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, 28 লক্ষ টাকার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি ৷ একই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের কোনও অ্যাকাউন্টে 40 লক্ষ টাকা ট্রানসফার হয়েছে ৷ এই বিপুল অর্থ একটি প্রকল্পের ফান্ড ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
বিষয়টি জানার পরে রাতেই আসানসোল সাইবার থানায় অভিযোগ করা হয় ৷ আসানসোল সাইবার থানা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (হেডকোয়ার্টার) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, "বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন আমাদের সাইবার থানার অভিজ্ঞ অফিসাররা ৷ আমাদের টিম কাজ করছে বিষয়টি নিয়ে ৷ খুব দ্রুত আমরা এই বিষয়টি উদ্ধার করে ফেলব ৷"