মালদা, 5 এপ্রিল: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদারকি উপাচার্যকে নিয়ে রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে ৷ উপাচার্য যাতে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না ঢুকতে পারেন, তা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালের দফতর থেকে রেজিস্ট্রারকে মেইল মারফৎ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন রেজিস্ট্রার ৷ যদিও তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের দফতর থেকে নির্দেশিকা এলেও এনিয়ে তিনি নিজে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেন না ৷
মেইল পাওয়ার কথা স্বীকার করে রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "আমি যখন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ অফিস থেকে বেরচ্ছি তখন নিজের মেইল দেখি ৷ সেই সময় রাজ্যপালের দফতর থেকে আসা মেইলটি নজরে পড়ে ৷ সেই মেইলে অধ্যাপক রজতকিশোর দে’র চেম্বার সিল করতে বলা হয়েছে ৷ তাতে কোনও অসুবিধে হলে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতেও বলা হয়েছে ৷ তবে এ নিয়ে আমি নিজে কোনও পদক্ষেপ করতে পারব না ৷ আমার সেই অধিকার নেই ৷ উপাচার্য এখন ছুটিতে ৷ বিষয়টি কয়েকজন ইসি সদস্যকে জানিয়েছি ৷ উচ্চশিক্ষা দফতরকেও জানাব ৷ ইসির নির্দেশমতো আমাকে কাজ করতে হবে ৷"
এদিন রজতবাবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন রাজ্যপাল ৷ রেজিস্ট্রারকে মেইল করা সেই বার্তায় বলা হয়েছে, গত 31 মার্চ রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রজতকিশোর দেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন ৷ এবার উপাচার্যের চেম্বার সিল করে দিতে হবে ৷ কোনও পরিস্থিতিতেই রজতবাবু যাতে তাঁর ঘরে যাতে ঢুকতে না পারেন তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ রজতবাবু যদি জোর করে উপাচার্যের দফতরে ঢুকতে চান তবে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তলব করতে হবে ৷
উল্লেখ্য, নির্বাচন বিধি চলাকালীন গত 30 মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৷ সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য-বসু সহ জেলার দুই প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তজমুল হোসেন ৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে এবারের নির্বাচনে দুই কেন্দ্রের ঘাসফুল প্রার্থীও ৷ সেদিন গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জ্বলজ্বল করছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ৷