কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি:এবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি বামফ্রন্টের। চলতি মাসের 10 তারিখ রাজ্যজুড়ে আন্দোলন প্রতিবাদ মিটিং মিছিল করবে বামফ্রন্ট। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী 8 এবং 9 ফেব্রুয়ারি সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠকের পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হবে বলেই জানানো হয়েছ সিপিএমের তরফে ৷
এই প্রসঙ্গেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম বলেন,"ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার, দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির দাবি, রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য দাবিতে বামফ্রন্ট লড়বে। রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন জানাবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এমন প্রার্থীদের নির্বাচন করবেন না, যারা মানুষের কথা সংসদীয় আলোচনায় বলেন না।"
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম ৷ তিনি উল্লেখ করেন, "আমাকে জেলে পুরে দিলেও আমি বেরিয়ে আসব বলে জানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা ঘর তৈরি করে তারা একটা ফুটো রেখে দেয়। সেটা হলো ইডি আর সিবিআই। নারদা কান্ড নিয়ে দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআই-এর তৎপরতা নেই। এইটা হচ্ছে আসল দিদি আর মোদির সেটিং। বিজেপি এবং তৃণমূল দলের নেতারা পার্লামেন্টে লড়াই করছেন না কেন একশো দিনের বকেয়ার দাবিতে? ৷" তিনি আরও উল্লেখ করেন ধর্মীয় রাজনীতি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ দিয়ে। বাংলায় এত দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু, বিজেপি সরকার আজও তদন্ত করেছে কি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকার বিরোধী জোটে থাকেন ৷ পিছনের দরজা দিয়ে আরএসএস বিজেপির সঙ্গে থাকেন তিনি ।
সূত্রের খবর, 10 ফেব্রুয়ারি কেরলেও রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করবে এলডিএফ। তারাও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা এবং এজেন্সিরাজের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে। মূলত সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে প্রতিটি রাজ্যে সিপিআইএমের নেতৃত্বে অন্যান্য বাম সহযোগী দল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন:
- ধরনামঞ্চ থেকেই হেমন্ত সোরেনের 'পাশে দাঁড়ানোর শপথ' মমতার
- তৃণমূলে নমনীয় জয়রাম রমেশকে 'মধ্যপদলোভী' বলে কটাক্ষ সেলিমের
- অনুব্রতর শুভকামনায় যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে, শহরজুড়ে পড়ল বড় বড় হোর্ডিং