কলকাতা, 10 জুন: রুটি-রুজি, অধিকারের প্রশ্নে দেশজুড়ে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেছিল বামেরা । তাঁরা বঙ্গ-কেরলে খুব একটা ভালো করতে না-পারলেও সামগ্রিক ভাবে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তারা খুশি । একই ভাবে তাঁদের বিচার বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, 'গ্রামীণ ভারত'-এর মানুষ চেয়েছে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতন হোক । কিন্তু, বিজেপি একার জোরে ক্ষমতায় ফিরতে না-পারলেও সরকার গঠন করেছে । তাই, রুটি-রুজি, অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করল সিপিআইএম ।
গতকাল দিল্লিতে সিপিআইএমের পলিটব্যুরো বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর । সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিপিএম পলিটব্যুরো বলেছে,"নির্বাচনী ফলাফল থেকে স্পষ্ট - মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ মিলিয়ে পাঁচটি রাজ্যে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে । বিজেপি এই 5 রাজ্য থেকেই 38টি আসনে হারিয়েছে । জীবিকা ধ্বংসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ভারত মোদি সরকারকে শিক্ষা দিয়েছে । অনুমান করা হয়েছে যে, 159টি গ্রামীণ নির্বাচনী এলাকায় মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে । নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে বঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও মোদির আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জোরদার হতে থাকবে । ইন্ডিয়া ব্লকের দলগুলিকে হিন্দুত্ব স্বৈরাচারী প্রবণতা এবং হিন্দুত্ব-কর্পোরেট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, জনগণের জীবিকা, অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ফেডারেলিজম রক্ষা করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে জারি রাখতে হবে । ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি ব্যবহারকারী হিন্দুত্ববাদী কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আগামী দিনে আরও জোরদার করতে হবে । যা সংসদের ভেতরে ও বাইরে করতে হবে ।"