পোলবা, 20 জুলাই: রাতপোহালেই কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ সমাবেশ ৷ শাসক দলের সেই মেগা কর্মসূচি শুরু হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টা আগে একটি হুমকি পোস্টার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হল ৷ হুগলির পোলবার বিভিন্ন জায়গায় এই পোস্টারটি শনিবার সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়ে ৷ 21 জুলাই তৃণমূলের কর্মসূচিতে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁদের প্রছন্ন হুমকি দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টারে ৷
তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুমকি পোস্টার ঘিরে বিতর্ক পোলবায় (ইটিভি ভারত) এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ ৷ সেই তদন্তে কী তথ্য সামনে আসবে, তা তো সময়ই বলবে ৷ তবে তার আগে এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ৷ এই পোস্টারের নেপথ্য়ে বিজেপি রয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ৷ অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে ৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে পোলবার জোড়া অশ্বত্থতলা, দাদপুরের মালপাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে কিছু বেনামি পোস্টার চোখে পড়ে ৷ পোস্টালে লেখা, "যাঁরা 21 জুলাই ডিম-ভাত খেতে যাচ্ছেন কলকাতা, তাঁরা অবশ্যই নিজের ইনসুরেন্স করে বাড়ি থেকে বেরোবেন ৷"
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগামিকাল 21 জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সভায় গেলে বিপদ হতে পারে, এমনই হুমকি দেওয়া হয়েছে এই পোস্টারের মাধ্যমে । পোস্টারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ । ছবি তুলে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা ৷ পাশাপাশি স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পুলিশের তরফে ।
তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুমকি পোস্টার (নিজস্ব চিত্র) কিন্তু কে দিল এই পোস্টার ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য জানা নেই কারও ৷ কেউ কেউ অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য করেছেন ৷ তাঁদেরই একজন তরুণ আদক ৷ তিনি জানান, কারা এই পোস্টার দিয়েছে জানা যায়নি ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই পোস্টার দেওয়া হয়ে থাকতে পারে ৷ সাধারণ মানুষও এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ৷
এদিকে এই পোস্টার নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজাও জমে উঠেছে । হুগলিতে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অর্বাচীনের মতো কাজ করেছে বিজেপি । তারা 21 জুলাই-এর বিরোধিতায় পালটা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে । এই পোস্টারের মাধ্যমে খোলাখুলি হুমকি দেওয়া হয়েছে । আমরা পুলিশকে জানিয়েছি ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে তৃণমূল কর্মী কেন, কোনও মানুষকেই ইন্সুরেন্সের কথা বলতে হয় না । মানুষের নিরাপত্তা বহাল আছে ।’’
অন্যদিকে হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, বিজেপি এই কাজ করেনি ৷ হুগলির সপ্তগ্রাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছেয়ে গিয়েছে ৷ 21-26 তারিখ বিজেপির নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে ৷ বিজেপি তা নিয়ে ব্যস্ত ৷ বিজেপির সপ্তগ্রাম মণ্ডল-1 এর সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই পোস্টার পড়েছে । কাটমানির ভাগাভাগিতে প্রাণহানির আশঙ্কা থেকেই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে ৷’’