কলকাতা, 7 মে: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি খুশি ৷ শীর্ষ আদালতকে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের শিক্ষক সমাজকে অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমলের অন্য নেতরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি অবশ্য মনে করছে এতে আখেরে রাজ্যের মুখ পুড়েছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন, "সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় প্রাপ্তির পর আমি বাস্তবিকই খুব খুশী এবং মানসিকভাবে তৃপ্ত। সমগ্র শিক্ষক সমাজকে জানাই আমার অভিনন্দন এবং মাননীয় সুপ্রিম কোর্টকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।"
সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতায় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং রাজ্য সরকার উৎখাতের জন্য এক সপ্তাহ আগে বোমা ছুড়েছিল বিজেপি । মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট বিজেপির ছোড়া সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে । সত্যের জয় হল ।" সেইসঙ্গে তিনি আরও লেখেন, "সমস্ত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকবে তৃণমূল ।"
রায় প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আজ আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা খুশি। রাজ্য সরকার যে দাবিগুলো আদালতের কাছে রেখেছিল তা আদালত মেনে নিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও। এঁরা দুজনেই সব সময় শিক্ষকদের পাশে ছিলেন। আজকের আদালতের রায় প্রমাণ করে দিচ্ছে সত্য কখনও ঢাকা থাকে না। শিক্ষকদের বলব নিজেরদেরকে শক্ত রাখুন আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি।"
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে রাজ্যের জন্য লজ্জাজনক বলে অবিহিত করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন্য এটা লজ্জার বিষয় ৷ মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি কেলেঙ্কারিকে "সিস্টেমেটিক জালিয়াতি" হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তৃণমূল শুধু দুর্নীতির দোহাই দিয়ে শুধু সিস্টেমটাই নষ্ট করেনি, 25000 জনের জীবন নষ্ট করেছে... লজ্জাজনক ৷"
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাকে একটি 'সিস্টেমেটিক ফ্রড' বা পরিকল্পিত জালিয়াতির আখ্যা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে পুরো প্যানেল বাতিল করার সিদ্ধান্ত ন্যায্য নয় ৷ সে ক্ষেত্রে আপাতত 25,573 জন চাকরিতে বহাল থাকছে বলে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ৷ আগামী 16 জুলাই মামলায় চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে শীর্ষ আদালত ৷
আরও পড়ুন: