কলকাতা, 5 জুলাই: সৌজন্যে 'দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চ' ৷ বৃহস্পতিবার সেই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে একটা অন্যরকম বিকেল কাটালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংগঠনের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন বিকেল চারটের পরে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্ব শুরু হয়। এদিন হাজির ছিলেন এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একদল বিশিষ্ট মানুষ। ছিলেন কবীর সুমন, নচিকেতা, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, দেবজ্যোতি ঘোষ, সুমন ভট্টাচার্য, রন্তিদেব সেনগুপ্তের মতো বিদ্বজ্জনেরা ৷ আর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেনরা ৷ মূলত, এদিনের সাক্ষাতকে সৌজন্য সাক্ষাতই বলছেন সংগঠনের সদস্যরা। গল্প-কবিতা-গান-আড্ডায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটা অন্যরকম বিকেল কাটালেন তাঁরা ।
জানা গিয়েছে, এদিন গান শুনিয়েছেন কবীর সুমন, নচিকেতা, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষেরা। একইভাবে কবিতা পাঠ করেছেন জয় গোস্বামী।
এদিন এই অনুষ্ঠান নিয়ে অবশ্য শুরু থেকেই মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতুল মুখোপাধ্যায় জানান, কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা নয়। নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। তাঁর কথায়, "নিছক একটা আড্ডার মেজাজে বিকেলটা কাটালাম আমরা। মুখ্যমন্ত্রী সকলের সঙ্গে আলাদা করে কথাও বলেছেন, সৌজন্য বিনিময় করেছেন। আমাদের শরীর ও পারিবারিক কুশল জানতে চেয়েছেন। এখানে কোথাও তাঁকে ছোটবোনের মতো ভূমিকায় আমরা দেখেছি, আবার কোথাও বড় দিদির ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।"
একইভাবে এদিন বিশিষ্ট যন্ত্র সংগীত শিল্পী দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, "এই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চকে আরও বৃহত্তর পরিসরে দেখতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই গণমঞ্চ যেভাবে কাজ করছে এদিন তার প্রশংসাও করেন তিনি ৷ আগামী দিনে এই সংগঠন যাতে ভালোভাবে কাজ করে তার জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।" তিনিও জানান, এই জমায়েত কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল না। বরং এর উদ্দেশ্য ছিল নিছক সৌজন্য বিনিময়। তাঁর কথায়, "সৌজন্য বিনিময় করে আমরা পরস্পরকে ভালো থাকার বার্তা দিয়েছি।"